এইখানে একটি কথা বলা উচিত। কবির এই বর্ণনা শরতের নহে ইহা হেমন্তের আশা করি এই ভ্রম সত্ত্বেও কবিতাটি সম্ভোগ করিবার ব্যাঘাত হইবে না।
দেবতার বিদায়
এই কবিতাটির অর্থ কী। ইহার সহিত “অনধিকার প্রবেশ” গল্পের মূল কথাটির ঐক্য আছে, বোধ করি লক্ষ্য করিয়া থাকিবে।
বন্দীবীর
এই শ্রেণীর কাব্যে পরীক্ষাপত্রে প্রশ্নোত্তর করিবার কিছু নাই। যাঁহারা ইচ্ছা করেন মৃত্যুস্বীকারী শিখবীরদের কথা ইতিহাস হইতে সংগ্রহ করিয়া পড়িতে পারেন। এইরূপ কবিতা কণ্ঠস্থ করিয়া আবৃত্তি করিবার যোগ্য।
বঙ্গমাতা
নির্জীব ভালোমানুষি-চর্চার বিরুদ্ধে কবির ভৎর্সনা লক্ষ্য করিয়া এই কবিতাটি তোমার ভাষায় লেখো।
মায়ের সম্মান
গদ্য ভাষায় লেখো। নমুনা –
অপূর্বদের বাড়ি ছিল ধনীর ঘর, আসবাবে ভরা, গাড়িঘোড়া লোকজনে ঠেসাঠেসি ভিড়। এইখানে আশ্রয় লইয়াছিল অপূর্বদের এক মাসি। মোক্ষকামী স্বামী তার স্ত্রী এবং বালক দুইটি ছেলে ত্যাগ করিয়া কোথায় চলিয়া গেছে ঠিকানা নাই।
কথ্য ভাষাতেও লেখা চলিতে পারে।
পদ্মা
পদ্মার প্রতি কবির প্রীতি-সম্বন্ধ এই কবিতায় প্রকাশ পাইয়াছে, প্রশ্নোত্তরের কোন অবকাশ নাই। পড়িয়া যদি রস পাও সেই যথেষ্ট।
বিচারক
নির্ভীক কর্তব্যপরায়ণ ত্যাগী ব্রাহ্মণের চরিত্র এই কাব্যের প্রধান লক্ষ্য। তাহার কাছে দর্পান্ধ নৃপতির বিপুল যুদ্ধ-আয়োজন তুচ্ছ। গদ্য ভাষায় বর্ণনা করো।
বিশ্বদেব
গদ্যে লেখো। যথা, হে বিশ্বদেব, পূর্বগগনে আমার স্বদেশে তোমাকে আজ কী বেশে দেখিলাম। নীল নভস্তলের নির্মল আলোকে চিরোজ্জ্বল তোমার ললাট, হিমাচল যেন বরাভয়হস্তরূপে তোমার আশীর্বাদ তুলিয়া ধরিয়াছে; আর বক্ষে দুলিতেছে জাহ্নবী তোমার হার-আভরণ। হৃদয় খুলিয়া বাহিরের দিকে চাহিয়া নিমেষের মধ্যে দেখিলাম, বিশ্বদেবতা, তুমি মিলিত হইয়াছ আমার সনাতন স্বদেশে।
দীনদান
ঐশ্বর্যমণ্ডিত মন্দিরে রাজপ্রতিষ্ঠিত বিগ্রহকে ভক্ত কেন সত্য বলিয়া স্বীকার করিলেন না। “দেবতার বিদায়” কবিতার সঙ্গে ইহার ভাবের মিল আছে।
ভোরের পাখি
ভোরের পাখির ভাবখানা কী। শেষের কয়েকটি শ্লোকে ইহার আসল কথাটি পাওয়া যাইবে। বুঝাইয়া দাও।