অথবা –
(খ) নিম্নোদ্ধৃত যে কোনো একটি কাব্যাংশ গদ্যে প্রকাশ কর। বাক্যগুলিকে পূর্ণতর করিবার জন্য আবশ্যকমত পরিবর্তন বা নূতন কিছু যোজনা করিলে অবিহিত হইবে না।
(১) (যজ্ঞশালায় গোপনে প্রবিষ্ট লক্ষণের দ্বারা আক্রান্ত নিরস্ত্র ইন্দ্রজিৎ বিভীষণকে দ্বাররোধ করিতে দেখিয়া কহিলেন) –
“ হায়, তাত, উচিত কি তব
এ কাজ, নিকষা সতী তোমার জননী,
সহোদর রক্ষঃশ্রেষ্ঠ, শূলীশম্ভুনিভ
কুম্ভকর্ণ, ভ্রাতৃপুত্র বাসববিজয়ী?
নিজগৃহপথ, তাত, দেখাও তস্করে?
চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে?
কিন্তু নাহি গঞ্জি তোমা, গুরুজন তুমি
পিতৃতুল্য। ছাড় দ্বার, যাব অস্ত্রাগারে,
পাঠাইব রামানুজে শমনভবনে,
লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে। ”
উত্তরিলা বিভীষণ,— “ বৃথা এ সাধনা,
ধীমান্! রাঘবদাস আমি ; কি প্রকারে
তাঁহার বিপক্ষে কাজ করিব, রক্ষিতে
অনুরোধ?”
উত্তরিলা কাতরে রাবণি, –
“ হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে।
রাঘবের দাস তুমি? কেমনে ও মুখে
আনিলে এ কথা, তাত, কহ তা দাসেরে।
কেবা সে অধম রাম? স্বচ্ছ সরোবরে
করে কেলি রাজহংস পঙ্কজকাননে ;
যায় কি সে কভু, প্রভু, পঙ্কিল সলিলে,
শৈবালদলের ধাম? মৃগেন্দ্র কেশরী,
কবে, হে বীরকেশরি, সম্ভাষে শৃগালে
মিত্রভাবে? ”
(২) (কলিঙ্গদেশে অতিবৃষ্টি)
ঈশানে উরিল মেঘ সঘনে চিকুর।
উত্তর পবনে মেঘ করে দুর দুর॥