তিন মাত্রা, যথা—
কাল ছিল ডাল। খালি—।
আজ ফুলে যায়। ভ’রে—।
তিন মাত্রার তালে পড়লেই ভালো হয়।
ভোর হ’লো। ধোবা আসে। ঐ তো লোকা ধোবা। গোরা বাজারে বাসা। ওর খোকা খুব মোটা, গাল ফোলা।
ঐ-যে ওর পোষা গাধা। ওর পিঠে বোঝা। খুলে দেখো। আছে ধুতি। আছে জামা, মোজা, সাড়ি। আরো কত কী।
ওর খুড়ো সুতো বেচে, উল বেচে। ওর মেসো বেচে ফুলের তোড়া।
ধোবা কোথা ধুতি কাচে,জানো? ঐ-যে ডোবা, ওখানে। ওর জল বড়ো ঘোলা।
গাধা ছোলা খেতে ভালোবালে। ওকে কিছু ছোলা খেতে দাও।
ছোলা কোথা পাব? ঐ-যে ঘোড়া ছোলা খায়। ওর ঘর খোলা আছে।
ঐ কোঠাবাড়ি। ওখানে আজ বিয়ে। তাই ঢের ঘোড়া এলো,গাড়ি এলো। এক জোড়া হাতি এলো। মেজো মেসো হাতি চ’ড়ে আসে। ওটা বুড়ো হাতি। তার নাতি ঘোড়া চড়ে। কালো ঘোড়া। পিঠে ডোরা দাগ। পায়ে তার ফোড়া, জোড়ে চলে না। ঢোল বাজে। ঘোড়া ঘোর ভয় পায়।
দিনে হই এক-মতো, রাতে হই আর।
রাতে-যে স্বপন দেখি মানে কী-যে তার।
আমাকে ধরিতে যেই এলো ছোটো কাকা
স্বপনে গেলাম উড়ে মেলে দিয়ে পাখা।
দুই হাত তুলে কাকা বলে, থামো থামো,
যেতে হবে ইসকুলে, এই বেলা নামো।
আমি বলি,কাকা, মিছে করো চেঁচামেচি,
আকাশেতে উঠে আমি মেঘ হয়ে গেচি।
ফিরিব বাতাস বেয়ে রামধনু খুঁজি,
আলোর অশোক-ফুল চুলে দেবো গুঁজি।
সাত-সাগরের পারে পারিজাত-বনে
জল দিতে চ’লে যাবো আপনার মনে।
যেমনি এ কথা বলা অমনি হঠাৎ
কড়কড় রবে বাজ মেলে দিল দাঁত।
ভয়ে কাঁপি, মা কোথাও নেই কাছাকাছি,
ঘুম ভেঙে চেয়ে দেখি বিছানায় আছি।