দূর সাগরের পারে,
জলের ধারে ধারে,
নারিকেলের বনগুলি সব
দাঁড়িয়ে সারে সারে।
পাহাড়-চুড়া সাজে
নীল আকাশের মাঝে,
বরফ ভেঙে ডিঙিয়ে যাওয়া
কেউ তা পারে না-যে।
কোন্ সে বনের তলে
নতুন ফুলে ফলে
নতুন নতুন পশু কত
বেড়ায় দলে দলে!
কত রাতের শেষে
নৌকো-যে যায় ভেসে;
বাবা কেন আপিসে যায়,
যায় না নতুন দেশে?
বাঁশগাছে বাঁদর। যত ঝাঁকা দেয় ডাল তত কাঁপে।
ওকে দেখে পাঁচু ভয় পায়, পাছে আঁচড় দেয়।
বাঁশগাছ থেকে লাফ দিয়ে বাঁদর গেল চাঁপাগাছে। কী জানি, কখন ঝাঁপ দিয়ে নীচে পড়ে।
এইবার বাঁদর ভয় পেয়েচে। ভোঁদা কুকুর ওকে দেখে ডাকচে। খাঁদু ওকে ঢিল ছুঁড়ে তাড়া করেচে।
পাঁচটা বেজে গেচে।
ঝাঁকায় কাঁচা আম নিয়ে মধু গলিতে হেঁকে যায়।
আঁধার হ’লো। ঐ-যে চাঁপাগাছের ফাঁকে বাঁকা চাঁদ। আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁস উড়ে গেল।
দূরে ঠাকুর-ঘরে শাঁক বাজে, কাঁসি বাজে। কানাই ছাদে ব’সে বাঁশি বাজায়।
ঐ কে যেন কাঁদে।
না, কাঁদা নয়, কাঁটা গাছে পেঁচা ডাকে।