Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://xn--u5bxfcqewdax4kraj7ob.xn--45brj9c)


সংস্কৃতশিক্ষা - ৪
সংস্কৃতশিক্ষা
থাকিবে; ছাত্রগণ তাহা মিলাইয়া লইয়া সন্ধি করিবে।

নিদাঘকালঃ         গ্রীষ্মকাল

তড়াগঃ             পুষ্করিণী

আতপঃ             রৌদ্র

পরিক্ষীণ            ক্ষয়প্রাপ্ত

পাংশুঃ              ধূলি

সরস্তীরং             সরোবরের তীর

কুরঙ্গঃ             হরিণ

–

নিদাঘকালঃ সমুপাগতঃ। প্রচণ্ডঃ সূর্য্যো ভাতি (১২)। তপ্তোবার্য়ুবাতি (১২, ১৫)। কূপস্তড়াগশ্চ শুষ্যতি (১৮, ১৬)। দিবসঃ প্রখরাতপো ভবতি (১২)। গাত্রং দহতি। পিঞ্জরে শুকো ন জল্পতি (১২)।* নদী পরিক্ষীণা শোভতে। শুষ্কং পত্রং পততি। পাংশুরুদ্‌গচ্ছতি গগনে (১৪)। বকুলশ্চম্পকশ্চ বিকশতি (১৬)। সরস্তীরে মৃগশ্চরতি (১৬)। শ্রান্তো গৌঃ শব্দায়তে (১২)। শুষ্কা শাখা কম্পতে পবনাহতা। ক্ষুধিতঃ পান্থঃ পচতি তরুতলে। ছায়ান্বেষী+ কুরঙ্গো ধাবতি (১২)। পাঠাগারে পঠতিচ্ছাত্রঃ (১৯)।

 

পাঠচর্চা ১

ক। সন্ধিবিচ্ছেদ করো।

খ। বিশেষ্য, বিশেষণ ও ক্রিয়ানির্ব্বাচন করো।

গ। পুংলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ ও ক্লীবলিঙ্গ পৃথক্‌ করো।

ঘ। যে ক্রিয়াগুলি তি-অন্ত এবং যেগুলি তে-অন্ত তাহাদিগকে পৃথক্‌ করো।

ঙ। নিদাঘকালঃ সমুপাগতঃ, কূপস্তড়াগঃ, দিবসঃ প্রখরাতপঃ, পিঞ্জরঃ, নদী পরিক্ষীণা, পাংশুঃ, বকুলশ্চম্পকঃ, সরস্তীরং,

তরুতলং, ছায়ান্বেষী কুরঙ্গঃ, পাঠাগারঃ, ছাত্রঃ, এই কয়েকটি পদকে দ্বিবচন ও বহুবচন করো।

চ। প্রচণ্ড, তপ্ত, সমুপাগত, প্রখরাতপ, পরিক্ষীণ, শুষ্ক, শ্রান্ত, বিশেষণ শব্দগুলিকে যথাক্রমে পুংলিঙ্গ স্ত্রীলিঙ্গ ও ক্লীবলিঙ্গরূপে

একবচন দ্বিবচন ও বহুবচন করো।

ছ। নিম্নলিখিত শব্দগুলি যদি সংযুক্ত না হইত তবে বাংলায় তাহা কিরূপে লিখিত হইত।—

    নিদাঘকাল, পবনাহত, তরুতল, পাঠাগার, ছায়ান্বেষী, প্রখরাতপ।

উত্তর। নিদাঘ-নামক কাল। পবনের দ্বারা আহত। তরুর তল। পাঠের আগার। ছায়ার অন্বেষী।

        প্রখর যাহার আতপ।



*যে-সকল শব্দে সপ্তমী বিভক্তি অবিকল বাংলার অনুরূপ, সেই-সকল শব্দেই সপ্তমী বিভক্তি ব্যবহার করা হইয়াছে অতএব ইহা বুঝিতে ছাত্রদের কষ্ট হইবে না।

+ ছায়ান্বেষী বিশেষণ শব্দটি প্রহরী শব্দের ন্যায়।