পরাও জগতে রজত বাস!
‘সব-ই অকারণ, বৃথাই জীবন,
জীবন কেবলই যাতনা সার—’
ধিক্ ও কথায় শুনিতে কে চায়,
কবির কাঁদুনি সহে না আর!
জোছনা-হাসিনী, এমন যামিনী—
এমন শরৎ, এমন শশী,
আবার ভূতলে, যমুনার জলে,
কত ভাঙা চাঁদা পড়েছে খসি!
লহরী লীলায়, নেচে নেচে যায়,
নেচে নেচে যায় তারকাকুল!
লতাপাতাগুলি, নাচে হেলি দুলি,
ঘুম ঘুম আঁখি মেলিল ফুল!
ডাগর ডাগর, ফুটেছে টগর,
গোলাপ প্রলাপ বাড়ায় প্রাণে,
চামেলির ফুল, হেসেই আকুল,
কেতকী কত কী কহুক জানে!
শেফালিকা বেলা, করে কত খেলা,
মৃদুল পবন সহায় তায়,
মৃদুল পরশে, অলস-আবেশে
ঢুলে ঢুলে পড়ে এ ওর গায়!-
বাঁধ্ তবে বীণা, আরও তুলে বাঁধ্,
নিখাদে চড়ায়ে ললিত তান,
আবার আবার, সে রবে আমার,
মাতিয়া উঠুক অবশ প্রাণ!
এই যে চাঁদিমা বিমান উজলে,
উজলে তো আজি আমারি তরে,
আমারি তো লাগি, হইয়ে সোহাগী,
বহিছে যমুনা পুলক-ভরে!
বিষাদের ঘোর কেন রবে তবে,
ভাবনায় কেন দলিত হব,