এই আর্শীবাদ করি – তব যাত্রা হোক্ আগ্রসর
অপূর্ব কীর্তির পথে উওরিয়া দেশদেশান্তর
দূর হতে দূরে। একদিন যবে অখ্যাত নিভৃতে
স্তব্ধ ছিলে, অন্তর্লীন আনন্দের অদৃশ্য রশ্মতে
সিদ্ধি ছিল মহীয়সী, ভারতীয় প্রসাদবৃষ্টিতে
ছিল তব পুরস্কৃত, ছিল না তা লোকের দৃষ্টিতে।
জ্ঞানের প্রদীপ তব দীপ্ত ছিল ধ্যানের আড়ালে
নিষ্কম্প আলোকে। আজ জনারণ্যে চরণ বাড়ালে,
সেথা পরিচয় লাগি নাম লোকে চিহ্নের গরিমা।
চিহ্ন না রহিতে তবু তোমারে চিনিয়াছিল য়ারা
তাদের সন্মানমাল্য জনতার কাছে মূল্যহারা।
যেথা যাহা প্রয়োজন তাই দিন সৌভাগ্য-বিধাতা,
পদবীর পরামাপে হয় যদি হোক্ উচ্চ মাথা।
বিশ্বে তুমি দৃশ্য হও ভালো বহি রাজদত্ত টিকা,
বন্ধুচিত্তে থাকো লয়ে নির্লাঞ্ছন আত্মালোকশিখা॥
বন্ধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যাহার অমর স্থান প্রেমের আসনে,
ক্ষতি তার ক্ষতি নয় মৃত্যুর শাসনে।
দেশের মাটির থেকে নিল যারে হরি
দেশের হৃদয় তারে রাখিয়াছে বরি।
জীবন ভান্ডারে তব ছিল পূর্ণ অমৃত-পাথেয়,
সংসারযাত্রায় ছিল বিশ্বাসের আনন্দ অমেয়।