Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://xn--u5bxfcqewdax4kraj7ob.xn--45brj9c)
শৈশবসঙ্গীত - অপ্সরাপ্রেম -১১
শৈশবসঙ্গীত
উঠিল সে বীর ধীরে,
সহসা আমারে দেখিতে পাইল
দাঁড়ায়ে সাগরতীরে।
নিমেষ হারায়ে চাহিয়া রহিল
অবাক্ নয়ন তার,
দেখিয়া দেখিয়া কিছুতেই যেন
দেখা ফুরায় না আর!
যেন আঁখি তার করিয়াছে পণ
এইরূপ এক ভাবে
নিমেষ না ফেলি চাহিয়া চাহিয়া
পাষাণ হইয়া যাবে।
রূপে রূপে যেন ডুবিয়া গিয়াছে
তাহার হৃদয়তল,
অবশ আঁখির পলক ফেলিতে
যেন রে নাইক বল!
কাছে গিয়া তার পরশিনু বাহু,
চমকি উঠিল হেন—
তিখিনী তিখিনী অশনি-সমান
বিঁধেছে যে দেহে শত শত বাণ,
নারীর কোমল পরশটুকুও
তার সহিল না যেন!
কাছে গেলে যেন পারে না সহিতে,
অভিভূত যেন পড়ে সে মহীতে,
রূপের কিরণে মন যেন তার
মুদিয়া ফেলে গো আঁখি,
সাধ যেন তার দেখিতে কেবল
অতিশয় দূরে থাকি!
সহসা আমারে দেখিতে পাইল
দাঁড়ায়ে সাগরতীরে।
নিমেষ হারায়ে চাহিয়া রহিল
অবাক্ নয়ন তার,
দেখিয়া দেখিয়া কিছুতেই যেন
দেখা ফুরায় না আর!
যেন আঁখি তার করিয়াছে পণ
এইরূপ এক ভাবে
নিমেষ না ফেলি চাহিয়া চাহিয়া
পাষাণ হইয়া যাবে।
রূপে রূপে যেন ডুবিয়া গিয়াছে
তাহার হৃদয়তল,
অবশ আঁখির পলক ফেলিতে
যেন রে নাইক বল!
কাছে গিয়া তার পরশিনু বাহু,
চমকি উঠিল হেন—
তিখিনী তিখিনী অশনি-সমান
বিঁধেছে যে দেহে শত শত বাণ,
নারীর কোমল পরশটুকুও
তার সহিল না যেন!
কাছে গেলে যেন পারে না সহিতে,
অভিভূত যেন পড়ে সে মহীতে,
রূপের কিরণে মন যেন তার
মুদিয়া ফেলে গো আঁখি,
সাধ যেন তার দেখিতে কেবল
অতিশয় দূরে থাকি!