ঠাকুরদা। ওরে, দরজার কাছে এসেছি, এবার খুব কষে দরজায় ঘা লাগা।
আজি কমলমুকুলদল খুলিল!
দুলিল রে দুলিল!
মানসসরসে রসপুলকে
পলকে পলকে ঢেউ তুলিল।
গগন মগন হল গন্ধে,
সমীরণ মূর্ছে আনন্দে,
গুন্ গুন্ গুঞ্জনছন্দে
মধুকর ঘিরি ঘিরি বন্দে—
নিখিলভুবনমন ভুলিল,
মন ভুলিল রে
মন ভুলিল॥
অবন্তী। এখানকার রাজা কি আমাদেরও দেখা দেবে না।
কাঞ্চী। এর রাজত্ব করবার প্রণালী কিরকম! রাজার বনে উৎসব, সেখানেও সাধারণ লোকের কারো কোনো বাধা নেই?
কোশল। আমাদের জন্যে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র জায়গা তৈরি করে রাখা উচিত ছিল।
কাঞ্চী। জোর করে নিজেরা তৈরি করে নেব।
কোশল। এই-সব দেখেই সন্দেহ হয় এখানে রাজা নেই, একটা ফাঁকি চলে আসছে।
অবন্তী। ওহে, তা হতে পারে। কিন্তু এখানকার মহিষী সুদর্শনা নিতান্ত ফাঁকি নয়।
কোশল। সেই লোভেই তো এসেছি। যিনি দেখা দেন না তাঁর জন্যে আমার বিশেষ ঔৎসুক্য নেই, কিন্তু যিনি দেখবার যোগ্য তাঁকে না দেখে ফিরে গেলে ঠকতে হবে।
কাঞ্চী। একটা ফন্দি দেখাই যাক-না।
অবন্তী। ফন্দি জিনিসটা খুব ভালো, যদি তার মধ্যে নিজে আটকা না পড়া যায়।
কাঞ্চী। এ কী ব্যাপার! নিশেন উড়িয়ে এ দিকে কে আসে! এ কোথাকার রাজা।