ফেলে যেতে চায় এই কিনারায়
সব চাওয়া সব পাওয়া!
পিছনে ঝরিছে ঝরো ঝরো জল,
গুরু গুরু দেয়া ডাকে—
মুখে এসে পড়ে অরুণকিরণ
ছিন্ন মেঘের ফাঁকে।
ওগো কাণ্ডারী, কে গো তুমি,কার
হাসিকান্নার ধন—
ভেবে মরে মোর মন
কোন্ সুরে আজ বাঁধিবে যন্ত্র,
কী মন্ত্র হবে গাওয়া!
প্রথম বালক। কই ঠাকুর, দেখিয়ে দাও-না।
সন্ন্যাসী। ঐ-যে সাদা মেঘ ভেসে আসছে।
দ্বিতীয় বালক। হাঁ হাঁ, ভেসে আসছে।
তৃতীয় বালক। হাঁ, আমিও দেখেছি।
সন্ন্যাসী। ঐ-যে আকাশ ভরে গেল!
প্রথম বালক। কিসে?
সন্ন্যাসী। কিসে! এই তো স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে আলোতে, আনন্দে! বাতাসে শিশিরের পরশ পাচ্ছ না?
দ্বিতীয় বালক। হাঁ পাচ্ছি।
সন্ন্যাসী। তবে আর-কি! চক্ষু সার্থক হয়েছে, শরীর পবিত্র হয়েছে, মন প্রশান্ত হয়েছে! এসেছেন, এসেছেন, আমাদের মাঝখানেই এসেছেন! দেখছ না বেতসিনী নদীর ভাবটা! আর, ধানের খেত কী রকম চঞ্চল হয়ে উঠেছে! গাও গাও, ঠাকুর্দা, বরণের গানটা গাও!
ঠাকুরদাদা।
আমি কী হেরিলাম হৃদয় মেলে!