শুকনো ফুলের পাতাগুলি পড়তেছে খসে, আর সময় নাহি রে।
ওই স্বপ্নপারাবারের খেয়া একলা চালায় বসি।
ও তোর নাই মানা নাই, মনের মানা নাই—
নুটু। কিন্তু রানী এখনো তো সাড়া পাচ্ছি নে।
অমিতা। নিশ্চয় পাচ্ছি। বুঝতে সময় লাগে— ভুল বুঝেই কত দিন কেটে যায়।
নুটু। যদি ভুল বুঝি যে সে কি আমার দোষ? ভোলান কেন?
অমিতা। ভুল ভাঙাবার সুখ দেবেন বলে। ওই যে শুকনো পাতা ছড়িয়ে চলেছেন তুই শুধু কি তাই দেখবি।
নুটু। যা চোখের সামনে দেখান তাই দেখি।
অমিতা। যা চোখের সামনে দেখান তাই দেখি।
অমিতা। যা চোখের সামনে দেখান না, তাই আরো বেশি করে দেখবার। মন দিয়ে একবার চেয়ে দেখ— ঐ শুকনো পাতার আবরণ এখনি খসবে— চিরনবীন ওরই আঁড়াল থেকে দেখা দেন। ওগো কিশোরের দল ধরো তো—
নুটু। রানী, ছদ্মবেশ ঘোচে, মায়া কাটে,দেখাও দেন। কিন্তু সব চেয়ে দুঃখ যে সম্পূর্ণ করে ধরা দেন না।
অমিতা। এই তো প্রেমের খেলা। পাওয়া আর না পাওয়ার দোল— এই হল দোলপূর্ণিমার দোল। সত্য আর মায়ার একসঙ্গে লীলা।
নুটু। এমন লীলায় ফল কী!
অমিতা। যেদিন দিয়ে তিনি চলে চলে যান সেই ব্যথার পথেই আমাদের এগিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান। সুমনা, সুন্দরের বিদায়ের পালা এবার শুরু হোক।