একটুকু হাসি কিনিতাম তোর
শতেক চুম্বন দিয়ে!
অমিয়া-মাখানো মুখানি তোমার
দেখে দেখে সাধ মিটিত না আর!
ও মুখানি লয়ে কি যে করিতাম
বুকের কোথায় ঢেকে রাখিতাম,
ভাবিয়া পেতাম তা কি?
সখি, কার তুমি ভালোবাসা-তরে
ভাবিছ অমন দিনরাত ধরে,
পায়ে পড়ি তব খুলে বলো তাহা—
কি হবে রাখিয়া ঢাকি?
মরমে লুকানো থাক্ মরমের ভার!
যে গোপন কথা, সখি, সতত লুকায়ে রাখি
ইষ্টদেবমন্ত্র-সম পূজি অনিবার
তাহা মানুষের কানে ঢালিতে যে লাগে প্রাণে—
লুকানো থাক্ তা, সখি, হৃদয়ে আমার!
ভালোবাসি, শুধায়ো না কারে ভালোবাসি!
সে নাম কেমনে, সখি, কহিব প্রকাশি!
আমি তুচ্ছ হতে তুচ্ছ, সে নাম যে অতি উচ্চ,
সে নাম যে নহে যোগ্য এই রসনার!
ক্ষুদ্র ওই কুসুমটি পৃথিবীকাননে,
আকাশের তারকারে পূজে মনে মনে—
দিন দিন পূজা করি শুকায়ে পড়ে সে ঝরি,
আজন্ম নীরব প্রেমে যায় প্রাণ তার—
তেমনি পূজিয়া তারে এ প্রাণ যাইবে হা-রে,
তবুও লুকানো রবে এ কথা আমার!
এ তোর কেমন কথা!
আজিও তো সখি না পেনু ভাবিয়া
একি প্রণয়ের প্রথা!
প্রণয়ীর নাম রসনার, সখি,