উদ্ধব। দুঃসাহসের কাজ করেছ। মহারাজ খবর পেয়েছেন এর বেশি আর কিছু বলতে পারব না। যদি পার তো এখনই চলে যাও। পথে দাঁড়িয়ে তোমার সঙ্গে কথা কওয়াও নিরাপদ নয়।
অম্বা। সুমন! বাবা সুমন! যে পথ দিয়ে তাকে নিয়ে গেল সে পথ দিয়ে তোমরা কি কেউ যাও নি?
অভিজিৎ। তোমার ছেলেকে নিয়ে গেছে?
অম্বা। হাঁ, ঐ পশ্চিমে, যেখানে সূয্যি ডোবে, যেখানে দিন ফুরোয়।
অভিজিৎ। ঐ পথেই আমি যাব।
অম্বা। তাহলে দুঃখিনীর একটা কথা রেখো— যখন তার দেখা পাবে, বোলো মা তার জন্যে পথ চেয়ে আছে।
অভিজিৎ। বলব।
অম্বা। বাবা, তুমি চিরজীবী হও। সুমন, আমার সুমন!
জয় ভৈরব, জয় শঙ্কর,
জয় জয় জয় প্রলয়ংকর।
জয় সংশয়ভেদন, জয় বন্ধনছেদন,
জয় সংকটসংহার,
বিজয়পাল। যুবরাজ, রাজকুমার, আমার বিনীত অভিবাদন গ্রহণ করুন। মহারাজের কাছ থেকে আসছি।
অভিজিৎ। কী তাঁর আদেশ?
বিজয়পাল। গোপনে বলব।
সঞ্জয়। (অভিজিতের হাত চাপিয়া ধরিয়া) গোপন কেন? আমার কাছেও গোপন?
বিজয়পাল। সেই তো আদেশ। যুবরাজ একবার রাজশিবিরে পদার্পণ করুন।
সঞ্জয়। আমিও সঙ্গে যাব।
বিজয়পাল। মহারাজ তা ইচ্ছা করেন না।
সঞ্জয়। আমি তবে এই পথেই অপেক্ষা করব।