ও তো আর ফিরবে না রে, ফিরবে না আর, ফিরবে না রে।
ঝড়ের মুখে ভাসল তরী,
কূলে আর ভিড়বে না রে।
কোন্ পাগলে নিল ডেকে,
কাঁদন গেল পিছে রেখে,
ওকে তোর বাহুর বাঁধন ঘিরবে না রে।
ফুলওয়ালী। বাবা, উত্তরকূটের বিভূতি মানুষটি কে?
সঞ্জয়। কেন, তাকে তোমার কী প্রয়োজন?
ফুলওয়ালী। আমি বিদেশী, দেওতলি থেকে আসছি। শুনেছি উত্তরকূটের সবাই তাঁর পথে পথে পুষ্পবৃষ্টি করছে। সাধুপুরুষ বুঝি? বাবার দর্শন করব বলে নিজের মালঞ্চের ফুল এনেছি।
সঞ্জয়। সাধুপুরুষ না হোক, বুদ্ধিমান পুরুষ বটে।
ফুলওয়ালী। কী কাজ করেছেন তিনি?
সঞ্জয়। আমাদের ঝরনাটাকে বেঁধেছেন।
ফুলওয়ালী। তাই পুজো? বাঁধে কি দেবতার কাজ হবে?
সঞ্জয়। না, দেবতার হাতে বেড়ি পড়বে।
ফুলওয়ালী। তাই পুষ্পবৃষ্টি? বুঝলুম না।
সঞ্জয়। না বোঝাই ভাল। দেবতার ফুল অপাত্রে নষ্ট করো না, ফিরে যাও। শোনো, শোনো, আমাকে তোমার ওই শ্বেতপদ্মটি বেচবে?
ফুলওয়ালী। সাধুকে দেব মনন করে যে ফুল এনেছিলুম সে তো বেচতে পারব না।
সঞ্জয়। আমি যে-সাধুকে সব চেয়ে ভক্তি করি তাঁকেই দেব।
ফুলওয়ালী। তবে এই নাও। না, মূল্য নেব না। বাবাকে আমার প্রণাম জানিয়ো। বোলো আমি দেওতলির দুখনী ফুলওয়ালী।
সঞ্জয়। দাদা কোথায়?
বিজয়পাল। শিবিরে তিনি বন্দী।
সঞ্জয়। যুবরাজ বন্দী! এ কী স্পর্ধা!