প্রথমা
চল্ ভাই, তবে পুজো দিই গে রাস্তা-ঠাকুরকে।
আর গর্ত-প্রভুকেও তো সিন্নি দিয়ে করতে হবে খুশি,
কী জানি ওঁরা শাপ দেন যদি। একটি-আধটি তো নন,
আছেন দু-হাত পাঁচ-হাত অন্তর।
নমো নমো দড়ি-ভগবান, রাগ কোরো না ঠাকুর,
ঘরে আছে ছেলেপুলে।
[ মেয়েদের প্রস্থান
সৈন্যদলের প্রবেশ
প্রথম সৈনিক
ওরে বাস্ রে। দড়িটা পড়ে আছে পথের মাঝখানে —
যেন একজটা ডাকিনীর জটা
দ্বিতীয় সৈনিক
মাথা দিল হেঁট করে।
স্বয়ং রাজা লাগালেন হাত, আমরাও ছিলুম পিছনে।
একটু ক্যাঁচ্কোঁচও ও করলে না চাকাটা।
তৃতীয় সৈনিক
ও যে আমাদের কাজ নয়, তাই।
ক্ষত্রিয় আমরা, শূদ্র নই, নই গোরু।
চিরদিন আমরা চড়েই এসেছি রথে।
চিরদিন রথ টানে ওই ওরা — যাদের নাম করতে নেই।
প্রথম নাগরিক
শোনো ভাই, আমার কথা।
কালের অপমান করেছি আমরা, তাই ঘটেছে এ-সব অনাসৃষ্টি।
তৃতীয় সৈনিক
এ মানুষটা আবার বলে কী।
প্রথম নাগরিক
ত্রেতাযুগে শূদ্র নিতে গেল ব্রাহ্মণের মান —
চাইলে তপস্যা করতে, এত বড়ো আস্পর্ধা —
সেদিনও অকাল লাগল দেশে, অচল হল রথ।
দয়াময় রামচন্দ্রের হাতে কাটা গেল তার মাথা,