তবে তো হল আপদশান্তি।
দ্বিতীয় নাগরিক
সেই শূদ্ররা শাস্ত্র পড়ছেন আজকাল,
হাত থেকে কাড়তে গেলে বলেন, আমরা কি মানুষ নই।
তৃতীয় নাগরিক
মানুষ নই! বটে! কতই শুনব কালে কালে।
কোন্দিন বলবে, ঢুকব দেবালয়ে।
বলবে, ব্রাহ্মণক্ষত্রিয়ের সঙ্গে নাইব এক ঘাটে।
প্রথম নাগরিক
এর পরেও রথ যে চলছে না, সে আমাদের প্রতি দয়া করে।
চললে চাকার তলায় গুঁড়িয়ে যেত বিশ্বব্রহ্মাণ্ড।
প্রথম সৈনিক
আজ শূদ্র পড়ে শাস্ত্র,
কাল লাঙল ধরবে ব্রাহ্মণ। সর্বনাশ!
দ্বিতীয় সৈনিক
চল্-না ওদের পাড়ায় গিয়ে প্রমাণ করে আসি —
ওরাই মানুষ না আমরা।
দ্বিতীয় নাগরিক
এ দিকে আবার কোন্ বুদ্ধিমান বলেছে রাজাকে —
কলিযুগে না চলে শাস্ত্র, না চলে শস্ত্র,
চলে কেবল স্বর্ণচক্র। তিনি ডাক দিয়েছেন শেঠজিকে।
প্রথম সৈনিক
রথ যদি চলে বেনের টানে
তবে গলায় অস্ত্র বেঁধে জলে দেব ডুব।
দ্বিতীয় সৈনিক
দাদা, রাগ কর মিছে, সময় হয়েছে বাঁকা।
এ যুগে পুষ্পধনুর ছিলেটাও
বেনের টানেই দেয় মিঠে সুরে টংকার।
তার তীরগুলোর ফলা বেনের ঘরে শানিয়ে না আনলে
ঠিক জায়গায় বাজে না বুকে।
তৃতীয় সৈনিক
তা সত্যি। এ কালের রাজত্বে রাজা থাকেন সামনে,