সৈনিক
সর্বনাশ! এতদিন মাথা হেঁট করে বলে এসেছে ওরা —
তোমরাই আমাদের অন্নবস্ত্রের মালিক।
আজ ধরেছে উলটো বুলি, এ তো সহ্য হয় না।
মন্ত্রী
সৈনিকের প্রতি
চুপ করো।
সর্দার, মহাকালের বাহন তোমরাই,
তোমরা নারায়ণের গরুড়।
এখন তোমাদের কাজ সাধন করে যাও তোমরা।
তার পরে আসবে আমাদের কাজের পালা।
দলপতি
আয় রে ভাই, লাগাই টান, মরি আর বাঁচি।
মন্ত্রী
কিন্তু বাবা, সাবধানে রাস্তা বাঁচিয়ে চোলো।
বরাবর যে রাস্তায় রথ চলেছে যেয়ো সেই রাস্তা ধরে।
পোড়ো না যেন একেবারে আমাদের ঘাড়ের উপর।
দলপতি
কখনো বড়ো রাস্তায় চলতে পাই নি, তাই রাস্তা চিনি নে।
রথে আছেন যিনি তিনিই সামলাবেন।
আয় ভাই, দেখছিস রথচূড়ায় কেতনটা উঠছে দুলে।
বাবার ইশারা। ভয় নেই আর, ভয় নেই। ওই চেয়ে দেখ্ রে ভাই,
মরা নদীতে যেমন বান আসে
দড়ির মধ্যে তেমনি প্রাণ এসে পৌঁচেছে।
পুরোহিত
ছুঁলো, ছুঁলো দেখছি, ছুলো শেষে রশি ছুঁলো পাষণ্ডেরা।
মেয়েদের ছুটিয়া প্রবেশ
সকলে
ছুঁয়ো না, ছুঁয়ো না, দোহাই বাবা —
ও গদাধর, ও বনমালী, এমন মহাপাপ কোরো না।
পৃথিবী যাবে যে রসাতলে।
আমাদের স্বামী ভাই বোন ছেলে