মন্ত্রী
নিজেদের রক্ষার কথা ভাবো।
দেখছ না, ঝুঁকেছে তোমাদের অস্ত্রশালার দিকে।
সৈনিক
উপায়?
মন্ত্রী
ওদের সঙ্গে মিলে ধরো-সে রশি।
বাঁচবার দিকে ফিরিয়ে আনো রথটাকে —
দো-মনা করবার সময় নেই।
[ প্রস্থান
সৈনিক
কী করবে ঠাকুর, তুমি কী করবে।
পুরোহিত
বীরগণ, তোমরা কী করবে বলো আগে।
সৈনিক
কী করতে হবে বলো-না ভাইসকল!
সবাই যে একেবারে চুপ করে গেছ!
রশি ধরব না লড়াই করব?
ঠাকুর, তুমি কী করবে বলোই-না।
পুরোহিত
কী জানি, রশি ধরব না শাস্ত্র আওড়াব।
সৈনিক
গেল, গেল সব। রথের এমন হাঁক শুনি নি কোনো পুরুষে।
দ্বিতীয় সৈনিক
চেয়ে দেখো-না, ওরাই কি টানছে রথ
না রথটা আপনিই চলেছে ওদের ঠেলে নিয়ে।
তৃতীয় সৈনিক
এতকাল রথটা চলত যেন স্বপ্নে —
আমরা দিতেম টান আর ও পিছে পিছে আসত দড়িবাঁধা গোরুর মতো।
আজ চলছে জেগে উঠে। বাপ রে, কী তেজ।
মানছে না আমাদের বাপদাদার পথ —
একটা কাঁচা পথে ছুটেছে বুনো মহিষের মতো।