Love’s golden dream is done
Hidden in mist of pain.
চারু। তোর মতো অদ্ভুত মেয়ে আমি দেখি নি — সবই উলটো-পালটা। তুই যদি ভাটপাড়ার পণ্ডিতের ঘরে জন্মাতিস, তা হলে চটেমটে মেমসাহেব হয়ে উঠতিস। মিস্টার লাহিড়ির ঘরে জন্মেছিস বলেই বুড়ি ঠাকুরমার চাল প্র্যাকটিস চলছে। কোন্দিন এসে দেখব জ্যাকেট ছেড়ে নামাবলি ধরেছিস।
নলিনী। তাতে আগাগোড়া ছুবিয়ে রাখব — মিস্টার নন্দী বার-অ্যাট-ল —
তোমারা সাব্কো বোলো, জবাব পিছে ভেজ দেউঙ্গী। —
দেখলি, একবার চাপরাশের ঘটা দেখলি? — গিলটি তক্মার ঝল্মলানিতে চোখ ঝলসে গেল।
চারু। ভয় করিস্ নে নেলি। গিলটি সোনার চাপরাশ জোটে চাপরাশির ভাগ্যে, কিন্তু —
নলিনী। হাঁ গো, আর খাঁটি সোনার চাপরাশ পরবেন মিসেস নন্দী। তাঁর কী সৌভাগ্য!
চারু। দেখ্ নেলি, ন্যাকামি করিস্ নে। মিস্টার নন্দীর মতো পাত্র যেন অমনি —
মিসেস লাহিড়ি। নেলি, ছি ছি, তুই এই কাপড় প’রে মিস্টার নন্দীর বেয়ারার —
নলিনী। কেন এ তো মন্দ কাপড় নয়।
মিসেস লাহিড়ি। কী মনে করবে বল্ তো। ওদের বাড়িতে সব —
নলিনী। বেহারা হয়ে জন্মেছে বলেই কি এত শাস্তি দিতে হবে। বেচারা মনিববাড়িতে চব্বিশ ঘণ্টা যা দেখে, আজ তার থেকে নতুন কিছু দেখে বেঁচে গেল। এত খুশি হল যে বকশিশ চাইতে ভুলে গেল।
মিসেস লাহিড়ি। চিঠি দিতে এসে আবার বকশিশ চাইবে কী। তোর সব অদ্ভুত কথা।
নলিনী। এমন আশ্চর্য চিঠি, মা, তাতে এত —
মিসেস লাহিড়ি। এত কী।
নলিনী। সোনালি ক্রেস্ট আঁকা। — আর তাতে লেখা আছে তিনি স্বয়ং এখানে আসবেন — আমাকে —
মিসেস লাহিড়ি। কী করতে।
নলিনী। বেশি আশা করে বোসো না, মা। প্রোপোজ করতে না, আমার জন্মদিনের জন্যে কন্গ্র্যাচুলেট করতে। সেই বা কজনের ভাগ্যে —
মিসেস লাহিড়ি। যা, আর বকিস্ নে — শীঘ্র যা, ড্রেস করে নে — এখনি লোক আসতে আরম্ভ হবে। মিস্টার নন্দী তোর সেই ধূপছায়া রঙেরশাড়িটা খুব অ্যাড্মায়ার করেন,সেটা —
নলিনী। সে হবে, মা, আমি এখনি যাচ্ছি।
মিসেস লাহিড়ি। যাই, হোটেল থেকে খানসামাগুলো এল কি না দেখিগে।