বয়স সাত। তিনকড়ির প্রবেশ। বয়স পনেরো
তিনকড়ি। কী হে বটকৃষ্ণবাবু, কী করছ?
বনমালীর নিরুত্তরে অবাক হইয়া থাকন
তিনকড়ি। উত্তর দিচ্ছ না যে? তোমার নাম বটকৃষ্ণ নয়?
বনমালী। ( সংক্ষেপে) না।
তিনকড়ি। অবিশ্যি বটকৃষ্ণ। যদি হয়? আচ্ছা, তোমার নাম কী বলো।
বনমালী। আমার নাম বনমালী।
তিনকড়ি। ( হাসিয়া উঠিয়া) ছেলেমানুষ, কিচ্ছু জান না। বনমালীও যা বটকৃষ্ণও তাই, একই। বনমালীর মানে জান?
বনমালী। না।
তিনকড়ি। বনমালীর মানে বটকৃষ্ণ। বটকৃষ্ণের মানে জান?
বনমালী। না।
তিনকড়ি। বটকৃষ্ণের মানে বনমালী। — আচ্ছা, বাবা তোমাকে কখনো আদর করেও ডাকে না বটকৃষ্ণ?
বনমালী। না।
তিনকড়ি। ছি ছি! আমার বাবা আমাকে বলে বটকৃষ্ণ, মোধোর বাবা মোধোকে বলে বটকৃষ্ণ -তোমার বাবা তোমাকে কিচ্ছু বলে না! ছি ছি!
পার্শ্বে উপবেশন
বনমালী। ( সগর্বে) বাবা আমাকে বলে ভুতু।
তিনকড়ি। আচ্ছা ভুতুবাবু, তোমার ডান হাত কোন্টা বলো দেখি।
বনমালী। ( ডান হাত তুলিয়া) এইটে ডান হাত।
তিনকড়ি। আচ্ছা, তোমার বাঁ হাত কোন্টা বলো দেখি।
বনমালী। ( বাম হাত তুলিয়া) এইটে।
তিনকড়ি। ( খপ্ করিয়া পাত হইতে একটা সন্দেশ তুলিয়া নিজের মুখের কাছে ধরিয়া) আচ্ছা ভুতুবাবু, এইটে কী বলো দেখি।