চতুর্ভুজ। ( সরোষে) এই নাও মা, তোমরা বেড়ালকেই খাওয়াও আমি খাব না, আমি চললেম।
মা। ( সকাতরে) ও কী কথা! তোমার খাবার তো তৈরি আছে বাপ, এখন নেয়ে এলেই হয়।
চতুর্ভুজ। আমি চললেম — তোমাদের দেশে বেড়ালেরই আদর, এখানে গুণবানের আদর নেই।
বিড়ালের প্রতি লাথি-বর্ষণ
মাসিমা। আহা, ওকে মেরো না — ও তো কোনো দোষ করে নি।
চতুর্ভুজ। বেড়ালের প্রতিই যত তোমাদের মায়ামমতা — আর মানুষের প্রতি একটু দয়া নেই।
[ প্রস্থান
ছোটো মেয়ে। ( নেপথ্যের দিকে নির্দেশ করিয়া) হরিখুড়ো দেখে যাও, ওর লেজ কত মোটা।
হরি। কার?
মেয়ে। ঐ-যে ওর!
হরি। চতুর্ভুজের?
মেয়ে। না, ঐ বেড়ালের।
সাধুচরণ। মশায়, আপনার সে বেড়ালটি গেল কোথায়?
চতুর্ভুজ। সে মরেছে!
সাধুচরণ। আহা, কেমন করে মোলো?
চতুর্ভুজ। ( বিরক্ত হইয়া) জানি নে মশায়!
পরানবাবুর প্রবেশ
পরান। মশায়, আপনার বেড়াল কী হল?
চতুর্ভুজ। সে মরেছে।
পরান। বটে! মোলো কী করে?
চতুর্ভুজ। এই তোমরা যেমন করে মরবে। গলায় দড়ি দিয়ে।
পরান। ও বাবা, এ যে একেবারে আগুন।
চতুর্ভুজের পশ্চাতে ছেলের পাল লাগিল
হাততালি দিয়া ‘ কাবুলি বিড়াল ' ‘ কাবুলি বিড়াল ' বলিয়া খেপাইতে লাগিল