গণেশের প্রবেশ
গণেশ। লেখাটা তো শেষ করেছি, এখন শোনাই কাকে? খাতা হাতে যেখানেই যাই কাউকে দেখতে পাই নে। আজ কাউকে শোনাতেই হবে — সন্ধান দেখি গে।
হরিচরণ। ওহে, এতদিন ছিলেম ভালো, কোনো আপদ ছিল না। এখন কী করা যায়!
নবীন। তাই তো, কী করা যায়!
নরোত্তম। তাই তো হে, উপায় কী!
হরিচরণ। এতদিন আমাদের বাসায় আপদের মধ্যে নবকান্ত ছিল, তাকে সয়ে গিয়েছিল, এখন কোথা থেকে একটা লেখক এসেছে।
নরোত্তম। বাসায় লেখক থাকা কাজের কথা নয়।
নবীন। কাল জাতিভেদের উপর এক কবিতা লিখে শোনাতে এসেছিল।
হরিচরণ। কাল রাত্রি সাড়ে-দশটা, সবে আমার একটু তন্দ্রা এসেছে, এমন সময় লেখক এসে উপস্থিত। তন্দ্রা তো ছুটলই, আমিও তার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটলুম।
নরোত্তম। আরে ভাই, আমাকেও — ঐ আসছে!
হরিচরণ। ঐ এল রে!
নবীন। ঐ খাতা!
হরিচরণ। পালাই!
[প্রস্থান
নবীন। আমিও পালাই!
[ প্রস্থান
নরোত্তম। আমি মোটা মানুষ ছুটতে পারব না, করি কী!
গণেশের প্রবেশ
গণেশ। তিনটে প্রবন্ধ-
নরোত্তম। কটা বাজল কে জানে!
গণেশ। একটা হচ্ছে আধুনিক স্ত্রীজাতির-
নরোত্তম। মশায়, ঘড়ি আছে? দেখুন তো সময়-
গণেশ। আজ্ঞে, ঘড়ি নেই। আমার প্রবন্ধের একটা হচ্ছে-
নরোত্তম। ( উচ্চস্বরে) ওরে মোধো, আপিসের চাপকানটা কোথায় রাখলি?