ক্ষীরো। ‘ দাও দাও ' ও তো একটা শব্দ,
ওটা কি নিত্যি শোনায় মিষ্টি?
মাঝে মাঝে তাই নতুন সৃষ্টি
করতেই হয় খুড়ি-জেঠিমার।
জান তো সকলি তবে কেন আর
লজ্জা দেওয়া?
কল্যাণী। অমনি চেয়ে কি
পাস নি কখনো তাই বল্ দেখি?
ক্ষীরো। মরা পাখিরেও শিকার ক'রে
তবে তো বিড়াল মুখেতে পোরে।
সহজেই পাই, তবু দিয়ে ফাঁকি
স্বভাবটাকে যে শান দিয়ে রাখি।
বিনা প্রয়োজনে খাটাও যাকে।
প্রয়োজনকালে ঠিক সে থাকে।
সত্যি বলছি মিথ্যে কথায়
তোমারও কাছেতে ফল পাওয়া যায়।
কল্যাণী। এবার পাবে না।
ক্ষীরো। আচ্ছা, বেশ তো,
সেজন্যে আমি নইকো ব্যস্ত।
আজ না হয় তো কাল তো হবে,
ততখন মোর সবুর সবে।
গা ছুঁয়ে কিন্তু বলছি তোমার
খুড়িটার কথা তুলব না আর।
[কল্যাণীর হাসিয়া প্রস্থান
হরি বলো মন। পরের কাছে
আদায় করার সুখও আছে,
দুঃখও ঢের। হে মা লক্ষ্মীটি,
তোমার বাহন পেঁচা পক্ষীটি
এত ভালোবাসে এ বাড়ির হাওয়া,
এত কাছাকাছি করে আসা-যাওয়া,
ভুলে কোনোদিন আমার পানে
তোমারে যদি সে বহিয়া আনে