সময় বহে যায়-
ওরে  সময় বহে যায়।
ধনঞ্জয়। একেবারে সব মুখ চুন করে আছিস কেন? মেরেছে বেশ করেছে। এতদিন আমার কাছে আছিস বেটারা এখনও ভালো করে মার খেতে শিখলি নে? হাড়গোড় সব ভেঙ্গে গেছে নাকি রে?
১। রাজার কাছারিতে ধরে মারলে সে বড়ো অপমান!
ধনঞ্জয়। আমার চেলা হয়েও তোদের মানসম্ভ্রম আছে? এখনো সবাই তোদের গায়ে ধুলো দেয় না রে? তবে এখনও তোরা ধরা পড়িস নি। তবে এখনও আরও অনেক বাকি আছে!
২। বাকি আর রইল কী ঠাকুর। এদিকে পেটের জ্বালায় মরছি, ওদিকে পিঠের জ্বালাও ধরিয়ে দিলে।
ধনঞ্জয়। বেশ হয়েছে, বেশ হয়েছে — একবার খুব করে নেচে নে!
গান
আরো আরো প্রভু, আরো আরো।
এমনি করে আমায় মারো।
লুকিয়ে থাকি আমি পালিয়ে বেড়াই,
ধরা পড়ে গেছি আর কি এড়াই?
যা কিছু আছে সব কাড়ো কাড়ো।
এবার যা করবার তা সারো সারো।
আমি হারি কিংবা তুমিই হার!
হাটে ঘাটে বাটে করি মেলা,
কেবল হেসে খেলে গেছে বেলা,
দেখি কেমনে কাঁদাতে পারো।
২। আচ্ছা ঠাকুর, তুমি কোথায় চলেছ বলো দেখি।
ধনঞ্জয়। যশোর যাচ্ছি রে।
৩। কী সর্বনাশ! সেখানে কী করতে যাচ্ছ?
ধনঞ্জয়। একবার রাজাকে দেখে আসি। চিরকাল কি তোদের সঙ্গেই কাটাব? এবার রাজদরবারে নাম রেখে আসব।
৪। তোমার উপরে রাজার যে ভারি রাগ। তার কাছে গেলে কি তোমার রক্ষা আছে?
৫। জান তো যুবরাজ তোমাকে শাসন করতে চায় নি বলে তাকে এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে গেল।