বরষ বরষ কাতরে জাগিয়া,
পরের মুখের হাসির লাগিয়া
অশ্রু-সাগরে ভাসা —
জীবনের সুখ খুঁজিবারে গিয়া
জীবনের সুখ নাশা।
মায়াকুমারীগণ। প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে,
কে কোথা ধরা পড়ে, কে জানে!
গরব সব হায় কখন টুটে যায়,
সলিল বহে যায় নয়নে।
কুমারের প্রবেশ
প্রমদার প্রতি
কুমার। যেয়ো না, যেয়ো না ফিরে,
দাঁড়াও, বারেক দাঁড়াও হৃদয়-আসনে।
চঞ্চলসমীরসম ফিরিছ কেন,
কুসুমে কুসুমে, কাননে কাননে।
তোমায় ধরিতে চাহি, ধরিতে পারি নে,
তুমি গঠিত যেন স্বপনে
এসো হে, তোমারে বারেক দেখি ভরিয়ে আঁখি,
ধরিয়া রাখি যতনে।
প্রাণের মাঝে তোমারে ঢাকিব,
ফুলের পাশে বাঁধিয়ে রাখিব,
তুমি দিবস-নিশি রহিবে মিশি
কোমল প্রেমশয়নে।
প্রমদা। কে ডাকে! আমি কভু ফিরে নাহি চাই।
কত ফুল ফুটে উঠে, কত ফুল যায় টুটে,
আমি শুধু বহে চলে যাই।
পরশ পুলকরস ভরা রেখে যাই, নাহি দিই ধরা।
উড়ে আসে ফুলবাস, লতাপাতা ফেলে শ্বাস,
বনে বনে উঠে হা-হুতাশ —
চকিতে শুনিতে শুধু পাই,