কুমারসেন। বুঝিয়াছি
বোন! যাই দেখি, অন্য কী উপায় আছে।
কাশ্মীর-প্রাসাদ
অন্তঃপুর
রেবতী। যেতে দাও মহারাজ! কী ভাবিছ বসি?
ভাবিছ কী লাগি? যাক যুদ্ধে, তার পরে
দেবতাকৃপায় আর যেন নাহি আসে
ফিরে।
চন্দ্রসেন। ধীরে রানী, ধীরে।
রেবতী। ক্ষুধিত মার্জার
বসে ছিলে এতদিন সময় চাহিয়া,
আজ তো সময় এল — তবু আজো কেন
সেই বসে আছ?
চন্দ্রসেন। কে বসিয়া ছিল, রানী,
কিসের লাগিয়া?
রেবতী। ছি ছি, আবার ছলনা?
লুকাবে আমার কাছে? কোন্ অভিপ্রায়ে
এতদিন কুমারের দাও নি বিবাহ।
কেন-বা সম্মতি দিলে ত্রিচূড়রাজ্যের
এই অনার্য প্রথায়? পঞ্চবর্ষ ধরে
কন্যার সাধনা।
চন্দ্রসেন। ধিক্। চুপ করো রানী —
কে বোঝে কাহার অভিপ্রায়?
রেবতী। তবে, বুঝে
দেখো ভালো করে। যে কাজ করিতে চাও
জেনে শুনে করো। আপনার কাছ হতে
রেখো না গোপন করে উদ্দেশ্য আপন।