দেবতা তোমার হয়ে অলক্ষ্য সন্ধানে
করিবে না তব লক্ষ্যভেদ। নিজহাতে
উপায় রচনা করো অবসর বুঝে।
বাসনার পাপ সেই হতেছে সঞ্চয়,
তার পরে কেন থাকে অসিদ্ধির ক্লেশ?
কুমারে পাঠাও যুদ্ধে।
চন্দ্রসেন। বাহিরে রয়েছে
কাশ্মীরের যত উপদ্রব। পররাজ্যে
আপনার বিষদন্ত করিতেছে ক্ষয়।
ফিরায়ে আনিতে চাও তাদের আবার?
রেবতী। অনেক সময় আছে সেকথা ভাবিতে।
আপাতত পাঠাও কুমারে। প্রজাগণ
ব্যগ্র অতি যৌবরাজ্য-অভিষেক-তরে,
তাদের থামাও কিছুদিন। ইতিমধ্যে
কত কী ঘটিতে পারে, পরে ভেবে দেখো।
রেবতী। যাও যুদ্ধে, পিতৃব্যের হয়েছে আদেশ।
বিলম্ব করো না আর, বিবাহ-উৎসব
পরে হবে। দীপ্ত যৌবনের তেজ ক্ষয়
করিয়ো না গৃহে ব'সে আলস্য-উৎসবে।
কুমারসেন। জয় হোক, জয় হোক জননী তোমার!
এ কী আনন্দ-সংবাদ! নিজমুখে তাত,
করহ আদেশ।
চন্দ্রসেন। যাও তবে। দেখো বৎস,
থেকো সাবধানে। দর্পমদে ইচ্ছা ক'রে
বিপদে দিয়ো না ঝাঁপ। আশীর্বাদ করি
ফিরে এসো জয়গর্বে অক্ষত শরীরে
পিতৃসিংহাসন-'পরে।
কুমারসেন। মাগি জননীর
আশীর্বাদ।