কেমনে উপেক্ষা করি রাজ্যের বিপদ।
চন্দ্রসেন। সেজন্য ভেবো না বৎস, যথেষ্ট রয়েছে
বল। কাশ্মীরের তরে আশঙ্কা কিছুই
নাই।
কুমারসেন। মোর হাতে দাও সৈন্যভার।
চন্দ্রসেন। দেখা
যাবে পরে। আগে হতে প্রস্তুত হইলে
অকারণে জেগে ওঠে যুদ্ধের কারণ।
আবশ্যক কালে তুমি পাবে সৈন্যভার।
রেবতী। কে চাহিছে সৈন্যভার?
সুমিত্রা ও কুমারসেন। প্রণাম জননী।
রেবতী। যুদ্ধে ভঙ্গ দিয়ে তুমি এসেছ পলায়ে,
নিতে চাও অবশেষে ঘরে ফিরে এসে
সৈন্যভার? তুমি রাজপুত্র? তুমি চাও
কাশ্মীরের সিংহাসন? ছি ছি লজ্জাহীন!
বনে গিয়ে থাকো লুকাইয়া। সিংহাসনে
বসো যদি, বিশ্বসুদ্ধ সকলে দেখিবে
কনককিরীটচূড়া কলঙ্কে অঙ্কিত।
কুমারসেন। জননী, কী অপরাধ করেছি চরণে?
কী কঠিন বচন তোমার! ও কি মাতা
স্নেহের ভর্ৎসনা? বহুদিন হতে তুমি
অপ্রসন্ন অভাগার 'পরে। রোষদীপ্ত
দৃষ্টি তব বিঁধে মোর মর্মস্থলে সদা ;
কাছে গেলে চলে যাও কথা না কহিয়া
অন্য ঘরে ; অকারণে কহ তীব্র বাণী
বলো মাতা, কী করিলে আমারে তোমার
আপন সন্তান বলে হইবে বিশ্বাস।
রেবতী। বলি তবে—
চন্দ্রসেন। ছি ছি, চুপ করো রানী!
কুমারসেন। মাতঃ,