কোলাহল করিতে করিতে এক দল লোকের প্রবেশ
পঞ্চম। ওরে, কে তোরা লড়াই করতে চাস, আয়।
প্রথম। রাজি আছি। কার সঙ্গে লড়তে হবে বলে দে।
পঞ্চম। খুড়ো-রাজা জালন্ধরের সঙ্গে ষড় করে যুবরাজকে ধরিয়ে দিতে চায়।
দ্বিতীয়। বটে! খুড়ো-রাজার দাড়িতে আমরা মশাল ধরিয়ে দেব।
অনেকে। আমাদের যুবরাজকে আমরা রক্ষা করব।
পঞ্চম। খুড়ো-রাজা গোপনে যুবরাজকে বন্দী করতে চেষ্টা করেছিল, তাই আমরা যুবরাজকে লুকিয়ে রেখেছি।
প্রথম। চল্ ভাই, খুড়ো-রাজাকে গুঁড়ো করে দিয়ে আসি গে।
দ্বিতীয়। চল্ ভাই, তার মুণ্ডুখানা খসিয়ে তাকে মুড়ো করে দিই গে।
পঞ্চম। সে-সব পরে হবে রে। আপাতত লড়তে হবে।
প্রথম। তা লড়ব। এই হাট থেকেই লড়াই শুরু করে দেওয়া যাক না। প্রথমে ওই মহাজনদের গমের বস্তাগুলো লুটে নেওয়া যাক। তার পরে ঘি আছে, চামড়া আছে, কাপড় আছে।
ষষ্ঠের প্রবেশ
ষষ্ঠ। শুনেছিস? যুবরাজ লুকিয়েছেন শুনে জালন্ধরের রাজা রটিয়েছে, যে তার সন্ধান বলে দেবে তাকে পুরস্কার দেবে।
পঞ্চম। তোর এ-সব খবরে কাজ কী?
দ্বিতীয়। তুই পুরস্কার নিবি নাকি?
প্রথম। আয় না ভাই, ওকে সবাই মিলে পুরস্কার দিই। যা হয় একটা কাজ আরম্ভ করে দেওয়া যাক। চুপ করে বসে থাকতে পারি নে।
ষষ্ঠ। আমাকে মারিস নে ভাই, দোহাই বাপ-সকল! আমি তোদের সাবধান করে দিতে এসেছি।
দ্বিতীয়। বেটা, তুই আপনি সাবধান হ।
পঞ্চম। এ খবর যদি তুই রটাবি তাহলে তোর জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব।
দূরে কোলাহল
অনেকে মিলিয়া। এসেছে — এসেছে!
সকলে। ওরে এসেছে রে, জালন্ধরের সৈন্য এসে পৌঁচেছে।
প্রথম। তবে আর কী! এবারে লুঠ করতে চললুম। ঐ জনার্দন থলে ভরে গোরুর পিঠে বোঝাই করছে। এই বেলা চল্। ঐ জনার্দনটাকে বাদ দিয়ে বাকি ক'টা গোরু বোঝাই-সুদ্ধ তাড়া করা যাক।
দ্বিতীয়। তোরা যা ভাই! আমি তামাশা দেখে আসি। সার বেঁধে খোলা তলোয়ার হাতে যখন সৈন্য আসে আমার দেখতে বড়ো মজা লাগে।