জীবনে থেকো না জেগে অনুতাপরূপে!
দেখা যাক যদি এইখানে — সংসারের
নির্জন নেপথ্যদেশে পাই নব প্রেম,
তেমনি অতলস্পর্শ, তেমনি মধুর।
এ কী অপরূপ মূর্তি! চরিতার্থ আমি।
আসন গ্রহণ করো দেবী! কেন মৌন,
নতশির, কেন ম্লানমুখ, দেহলতা
কম্পিত কাতর? কিসের বেদনা তব?
ইলা। শুনিয়াছি মহারাজ-অধিরাজ তুমি
সসাগরা ধরণীর পতি। ভিক্ষা আছে
তোমার চরণে।
বিক্রমদেব। উঠ উঠ হে সুন্দরী!
তব পদস্পর্শযোগ্য নহে এ ধরণী,
তুমি কেন ধুলায় পতিত? চরাচরে
কিবা আছে অদেয় তোমারে?
ইলা। মহারাজ,
পিতা মোরে দিয়াছেন সঁপি তব হাতে ;
আপনারে ভিক্ষা চাহি আমি। ফিরাইয়া
দাও মোরে। কত ধন রত্ন রাজ্য দেশ
আছে তব, ফেলে রেখে যাও মোরে এই
ভূমিতলে। তোমার অভাব কিছু নাই।
বিক্রমদেব। আমার অভাব নাই? কেমনে দেখাব
গোপন হৃদয়? কোথা সেথা ধনরত্ন?
কোথা সসাগরা ধরা? সব শূন্যময়।
রাজ্যধন না থাকিত যদি, শুধু তুমি
থাকিতে আমার —