বাঁচিতে বলিত? সে আমার ধ্রুবতারা
মহৎ মৃত্যুর দিকে দেখাইছে পথ।
কাল পূর্ণিমার তিথি মিলনের রাত।
জীবনের গ্লানি হতে মুক্ত ধৌত হয়ে
চিরমিলনের বেশ করিব ধারণ।
চলো বোন। আগে হতে সংবাদ পাঠাই
দূতমুখে রাজসভামাঝে, কাল আমি
যাব ধরা দিতে। তাহা হলে অবিলম্বে
শংকর পাইবে ছাড়া — বান্ধব আমার।
কাশ্মীর। রাজসভা
বিক্রমদেব। আর্য, তুমি কেন আজ নীরব এমন?
মার্জনা তো করেছি কুমারে।
চন্দ্রসেন। তুমি তারে
মার্জনা করেছ। আমি তো এখনো তার
বিচার করি নি। বিদ্রোহী সে মোর কাছে।
এবার তাহার শাস্তি দিব।
বিক্রমদেব। কোন্ শাস্তি
করিয়াছ স্থির?
চন্দ্রসেন। সিংহাসন হতে তারে
করিব বঞ্চিত।
বিক্রমদেব। অতি অসম্ভব কথা।
সিংহাসন দিব তারে নিজ হস্তে আমি।
চন্দ্রসেন। কাশ্মীরের সিংহাসনে তোমার কী আছে
অধিকার?
বিক্রমদেব। বিজয়ীর অধিকার।
চন্দ্রসেন। তুমি
হেথা আছ বন্ধুভাবে অতিথির মতো।