সখীগণ। রাজভবনের সমাদর সম্মান ছেড়ে
এল আমাদের সখী।
দেরি কোরো না, দেরি কোরো না–
কেমনে যাবি অজানা পথে
অন্ধকারে দিক নিরখি।
অচেনা প্রেমের চমক লেগে
প্রণয়রাতে সে উঠেছে জেগে–
ধ্রুবতারাকে পিছনে রেখে
ধূমকেতুকে চলেছে লখি।
কাল সকালে পুরোনো পথে
আর কখনো ফিরিবে ও কি।
দেরি কোরো না, দেরি কোরো না, দেরি কোরো না।
প্রহরী। দাঁড়াও, কোথা চলো, তোমরা কে বলো বলো।
সখীগণ। আমরা আহিরিনী, সারা হল বিকিকিনি–
দূর গাঁয়ে চলি ধেয়ে আমরা বিদেশী মেয়ে।
প্রহরী। ঘাটে বসে হোথা ও কে।
সখীগণ। সাথী মোদের ও যে নেয়ে–
যেতে হবে দূর পারে,
এনেছি তাই ডেকে তারে।
নিয়ে যাবে তরী বেয়ে
সাথী মোদের ও যে নেয়ে–
ওগো প্রহরী, বাধা দিয়ো না, বাধা দিয়ো না,
মিনতি করি,
ওগো প্রহরী।
সখী। কোন্ বাঁধনের গ্রন্থি বাঁধিল দুই অজানারে
এ কী সংশয়েরি অন্ধকারে।
দিশাহারা হাওয়ায় তরঙ্গদোলায়
মিলনতরণীখানি ধায় রে
কোন্ বিচ্ছেদের পারে॥