Published on রবীন্দ্র রচনাবলী (https://xn--u5bxfcqewdax4kraj7ob.xn--45brj9c)
রুদ্রচণ্ড- দ্বিতীয় দৃশ্য, ৯
রুদ্রচন্ড
মাথা তার ডুবায়েছে হাসিয়া হাসিয়া,
ক্ষুদ্র এই বালিকার শোণিত বর্ষিতে
ও দারুণ ছুরি তব হবে না কুণ্ঠিত!
হেসো না অমন করি, পায়ে পড়ি তব,
ওর চেয়ে রোষদীপ্ত ভ্রূকুটিকুটিল
রুদ্র মুখপানে তব পারি নেহারিতে!
ক্ষুদ্র এই বালিকার শোণিত বর্ষিতে
ও দারুণ ছুরি তব হবে না কুণ্ঠিত!
হেসো না অমন করি, পায়ে পড়ি তব,
ওর চেয়ে রোষদীপ্ত ভ্রূকুটিকুটিল
রুদ্র মুখপানে তব পারি নেহারিতে!
রুদ্রচণ্ড। ঘুমাগে ঘুমাগে তুই, অমিয়া, ঘুমাগে—
একটু রহিব একা, তাও কি দিবি না?
আজ আমি ঘুমাব না, একেলা হেথায়
ভ্রমিয়া ভ্রমিয়া রাত্রি করিব যাপন।
এনে দে কুঠার মোর, কাটিয়া পাদপ
এ দীর্ঘ সময় আমি দিব কাটাইয়া।
বিশ্রাম আমার কাছে দারুণ যন্ত্রণা।
বিশ্রাম, কালের প্রতি মুহূর্ত্ত যেমন
দংশন করিতে থাকে হৃদয় আমার।
মরুভূমিপথমাঝে পথিক যখন
দূর গম্যদেশে তার করিতে গমন
যত অগ্রসর হয়, দিগন্তবিস্তৃত
নব নব মরু যদি পড়ে দৃষ্টিপথে,
তাহার হৃদয় হয় যেমন অধীর,
তেমনি আমার সেই উদ্দেশ্যের মাঝে
প্রত্যেক মুহূর্তকাল প্রত্যেক নিমেষ
অস্থির করিয়া তুলে হৃদয় আমার!
আজ আমি ঘুমাব না, একেলা হেথায়
ভ্রমিয়া ভ্রমিয়া রাত্রি করিব যাপন।
এনে দে কুঠার মোর, কাটিয়া পাদপ
এ দীর্ঘ সময় আমি দিব কাটাইয়া।
বিশ্রাম আমার কাছে দারুণ যন্ত্রণা।
বিশ্রাম, কালের প্রতি মুহূর্ত্ত যেমন
দংশন করিতে থাকে হৃদয় আমার।
মরুভূমিপথমাঝে পথিক যখন
দূর গম্যদেশে তার করিতে গমন
যত অগ্রসর হয়, দিগন্তবিস্তৃত
নব নব মরু যদি পড়ে দৃষ্টিপথে,
তাহার হৃদয় হয় যেমন অধীর,
তেমনি আমার সেই উদ্দেশ্যের মাঝে
প্রত্যেক মুহূর্তকাল প্রত্যেক নিমেষ
অস্থির করিয়া তুলে হৃদয় আমার!