আমি যখন ছিলেম অন্ধ,
সুখের খেলায় বেলা গেছে পাই নি তো আনন্দ॥
খেলাঘরের দেয়াল গেঁথে
খেয়াল নিয়ে ছিলেম মেতে,
ভিত ভেঙে যেই আসলে ঘরে
ঘুচল আমার বন্ধ,
সুখের খেলা আর রোচে না
পেয়েছি আনন্দ॥
ভীষণ আমার, রুদ্র আমার,
নিদ্রা গেল ক্ষুদ্র আমার,
উগ্র ব্যথায় নূতন করে
বাঁধলে আমার ছন্দ।
যেদিন তুমি অগ্নিবেশে
সব-কিছু মোর নিলে এসে,
সেদিন আমি পূর্ণ হলেম ঘুচল আমার দ্বন্দ্ব,
দুঃখ সুখের পারে তোমায় পেয়েছি আনন্দ॥
সুদর্শনা। প্রথমটা তুমি তাঁকে চিনতে পার নি?
সুরঙ্গমা। না।
সুদর্শনা। কিন্তু দেখো তাঁকে চিনতে আমার একটুও দেরি হবে না। আমার কাছে তিনি সুন্দর হয়ে দেখা দেবেন।
সুরঙ্গমা। তার আগে একটা কথা তোমাকে মেনে নিতে হবে।
সুদর্শনা। নেব, আমার কিছুতে দ্বিধা নেই।
সুরঙ্গমা। তিনি বলেছেন, অন্ধকারেই তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে।
সুদর্শনা। চিরদিন?
সুরঙ্গমা। সে-কথা বলতে পারি নে।
সুদর্শনা। আচ্ছা আমি সবই মেনে নিচ্ছি। কিন্তু আমার কাছে তিনি লুকিয়ে থাকতে পারবেন না। দিন যদি স্থির হয়ে থাকে সবাইকে তো জানাতে হবে।
সুরঙ্গমা। জানিয়ে কী করবে। সে অন্ধকারে সকলের তো স্থান নেই।
সুদর্শনা। আমি রাজাধিরাজকে লাভ করেছি সে-কথা কাউকে জানাতে পারব না?
সুরঙ্গমা। জানাতে পার কিন্তু কেউ বিশ্বাস করবে না।
সুদর্শনা। এতবড়ো কথাটা বিশ্বাস করবে না, সে কি হয়?
সুরঙ্গমা। লোক ডেকে প্রমাণ দিতে পারবে না যে।