পলাতকা

          ওই যেখানে শিরীষ গাছে

          ঝুরু-ঝুরু কচি পাতার নাচে

               ঘাসের ‘ পরে ছায়াখানি কাঁপায় থরথর

                   ঝরা ফুলের গন্ধে ভরভর —

          ওই খানে মোর পোষা হরিণ চরত আপন মনে

               হেনা-বেড়ার কোণে

          শীতের রোদে সারা সকালবেলা।

               তার ই সঙ্গে করত খেলা

                   পাহাড়-থেকে-আনা

          ঘন রাঙা রোঁয়ায় ঢাকা একটি কুকুর - ছানা।

               যেন তারা দুই বিদেশের দুটি ছেলে

মিলেছে এক পাঠশালাতে, একসাথে তাই বেড়ায় হেসে খেলে।

          হাটের দিনে পথের কত লোকে

     বেড়ার কাছে দাঁড়িয়ে যেত, দেখত অবাক-চোখে।

 

          ফাগুন মাসে জাগল পাগল দখিন হাওয়া,

শিউরে ওঠে আকাশ যেন কোন্‌ প্রেমিকের রঙিন-চিঠি-পাওয়া।

               শালের বনে ফুলের মাতন হল শুরু,

          পাতায় পাতায় ঘাসে ঘাসে লাগল কাঁপন দুরুদুরু।

     হরিণ যে কার উদাস-করা বাণী

               হঠাৎ কখন শুনতে পেলে আমরা তা কি জানি।

                   তাই যে কালো চোখের কোণে

                        চাউনি তাহার উতল হল অকারণে ;

                             তাই সে থেকে থেকে

                                  হঠাৎ আপন ছায়া দেখে

                                      চমকে দাঁড়ায় বেঁকে।

 

 

                   একদা এক বিকালবেলায়

আমলকীবন অধীর যখন ঝিকিমিকি আলোর খেলায়,