চিত্রা

ঢালিবারে চাহে আপন অঙ্গ,

    কাটিবারে চাহে ধমনী।

হে নগরী, তব ফেনিল মদ্য

উছসি উছলি পড়িছে সদ্য,

আমি তাহা পান করিব অদ্য,

    বিস্মৃত হব আপনা।

অয়ি মানবের পাষাণী ধাত্রী,

আমি হব তব মেলার যাত্রী

সুপ্তিবিহীন মত্ত রাত্রি

    জাগরণে করি যাপনা।

ঘূর্ণচক্র জনতাসংঘ,

বন্ধনহীন মহা- আসঙ্গ,

তারি মাঝে আমি করিব ভঙ্গ

    আপন গোপন স্বপনে।

ক্ষুদ্র শান্তি করিব তুচ্ছ,

পড়িব নিম্নে, চড়িব উচ্চ,

ধরিব ধূম্রকেতুর পুচ্ছ,

    বাহু বাড়াইব তপনে।

নব নব খেলা খেলে অদৃষ্ট

কখনো ইষ্ট কভু অনিষ্ট,

কখনো তিক্ত কখনো মিষ্ট,

    যখন যা দেয় তুলিয়া —

সুখের দুখের চক্রমধ্যে

কখনো উঠিব উধাও পদ্যে,

কখনো লুটিব গভীর গদ্যে,

    নাগরদোলায় দুলিয়া।

হাতে তুলি লব বিজয়বাদ্য

আমি অশান্ত, আমি অবাধ্য

যাহা-কিছু আছে অতি অসাধ্য

    তাহারে ধরিব সবলে।

আমি নির্মম আমি নৃশংস

সবেতে বসাব নিজের অংশ,