পলাতকা

     তাই নিয়ে শেষ বাবার সঙ্গে মনুর বাবার বাধল মকদ্দমা,

          কেউ কাহারে করলে না আর ক্ষমা।

               দুয়ার মোদের বন্ধ হল,

          আকাশ যেন কালো মেঘে অন্ধ হল,

       হঠাৎ এল কোন্‌ দশমী সঙ্গে নিয়ে ঝঞ্ঝার গর্জন,

               মোর প্রতিমার   হল বিসর্জন।

                দেখাশোনা ঘুচল যখন এলেম যখন দূরে,

     তখন প্রথম শুনতে পেলেম কোন্‌ প্রভাতী সুরে

           প্রাণের বীণা বেজেছিল কাহার হাতে।

                      নিবিড় বেদনাতে

মুখখানি তার উঠল ফুটে আঁধার পটে সন্ধ্যাতারার মতো ;

          একই সঙ্গে জানিয়ে দিলে সে যে আমার কত,

                 সে যে আমার কতখানিই নয়!

প্রেমের শিখা জ্বলল তখন, নিবল যখন চোখের পরিচয়।

 

 

                   কত বছর গেল চলে,

       আবার গ্রামে গিয়েছিলেম পরীক্ষা পাস হলে।

গিয়ে দেখি, ওদের বাড়ি কিনেছে কোন্‌ পাটের কুঠিয়াল,

                   হল অনেক কাল।

                   বিয়ে করে মনুর স্বামী

কোন্‌ দেশে যে নিয়ে গেছে, ঠিকানা তার খুঁজে না পাই আমি।

          সেই মনু আজ এতকালের অজ্ঞাতবাস টুটে

             কোন্‌ কথাটি পাঠাল তার পত্রপুটে।

             কোন্‌ বেদনা দিল তারে নিষ্ঠুর সংসার —    

      মৃত্যু সে কি। ক্ষতি সে কি। সে কি অত্যাচার।

           কেবল কি তার বাল্যসখার কাছে

           হৃদয়ব্যথার সান্ত্বনা তার আছে।

                   ছিন্ন চিঠির বাকি

     বিশ্বমাঝে কোথায় আছে খুঁজে পাব না কি।

               “ মনুরে কি গেছ ভুলে। ”

     এ প্রশ্ন কি অনন্ত কাল রইবে দুলে