পুনর্মিলন
       কিসের হরষ কোলাহল
       শুধাই তোদের, তোরা বল্‌।
আনন্দ-মাঝারে সব উঠিতেছে ভেসে ভেসে
        আনন্দে হতেছে কভু লীন--
চাহিয়া ধরণী-পানে নব আনন্দের গানে
        মনে পড়ে আর-এক দিন।
সে তখন ছেলেবেলা--রজনী প্রভাত হলে,
তাড়াতাড়ি শয্যা ছাড়ি ছুটিয়া যেতেম চলে;
সারি সারি নারিকেল বাগানের এক পাশে,
বাতাস আকুল করে আম্রমুকুলের বাসে।
          পথপাশে দুই ধারে
          বেলফুল ভারে ভারে
ফুটে আছে, শিশুমুখে প্রথম হাসির প্রায়--
          বাগানে পা দিতে দিতে
          গন্ধ আসে আচম্বিতে,
নর‌্‌গেস্ কোথা ফুটে খুঁজে তারে পাওয়া দায়।
মাঝেতে বাঁধানো বেদী, জুঁইগাছ চারি ধারে--
সূর্যোদয় দেখা দিত প্রাচীরের পরপারে।
          নবীন রবির আলো
         সে যে কী লাগিত ভালো,
সর্বাঙ্গে সুবর্ণসুধা অজস্র পড়িত ঝরে--
প্রভাত ফুলের মতো ফুটায়ে তুলিত মোরে।

 

      এখনো সে মনে আছে
           সেই জানালার কাছে
বসে থাকিতাম একা জনহীন দ্বিপ্রহরে।
           অনন্ত আকাশ নীল,
           ডেকে চলে যেত চিল
জানায়ে সুতীব্র তৃষা সুতীক্ষ্ণ করুণ স্বরে।
           পুকুর গলির ধারে,