কল্পনা

                    সুস্নিগ্ধ নির্বাণ—

আবার চলিনু ফিরে                 বহি ক্লান্ত নতশিরে

                   তোমার আহ্বান।

বলো তবে কী বাজাব,              ফুল দিয়ে কী সাজাব

                   তব দ্বারে আজ?

রক্ত দিয়ে কী লিখিব,                প্রাণ দিয়ে কী শিখিব,

                    কী করিব কাজ?

যদি আঁখি পড়ে ঢুলে,              শ্লথ হস্ত যদি ভুলে

                   পূর্ব নিপুণতা,

বক্ষে নাহি পাই বল,                চক্ষে যদি আসে জল,

                   বেধে যায় কথা,

চেয়ো নাকো ঘৃণাভরে,            কোরো নাকো অনাদরে

                    মোর অপমান—

মনে রেখো হে নিদয়ে,             মেনেছিনু অসময়ে

                   তোমার আহ্বান।

 

 

সেবক আমার মতো                রয়েছে সহস্র শত

                   তোমার দুয়ারে,

তাহারা পেয়েছে ছুটি,            ঘুমায় সকলে জুটি

                   পথের দু ধারে।

শুধু আমি তোরে সেবি            বিদায় পাই নে দেবী,

                   ডাক’ ক্ষণে ক্ষণে—

বেছে নিলে আমারেই,              দুরূহ সৌভাগ্য সেই

                   বহি প্রাণপণে।

সেই গর্বে জাগি রব                সারারাত্রি দ্বারে তব

                   অনিদ্র-নয়ান,

সেই গর্বে কণ্ঠে মম                বহি বরমাল্যসম

                   তোমার আহ্বান।