১৩

আমার      নয়ন-ভুলানো এলে।

আমি        কী হেরিলাম হৃদয় মেলে।

             শিউলিতলার পাশে পাশে

             ঝরা ফুলের রাশে রাশে

             শিশির-ভেজা ঘাসে ঘাসে

                     অরুণ-রাঙা-চরণ ফেলে

                     নয়ন-ভুলানো এলে।

 

                 আলোছায়ার আঁচলখানি

                           লুটিয়ে পড়ে বনে বনে,

              ফুলগুলি ওই মুখে চেয়ে

                        কী কথা কয় মনে মনে ।

                                   তোমায় মোরা করব বরণ,

                                   মুখের ঢাকা করো হরণ,

                                   ওই টুকু ওই মেঘাবরণ

                                          দু হাত দিয়ে ফেলো ঠেলে।

                                          নয়ন-ভুলানো এলে।

বনদেবীর দ্বারে দ্বারে

       শুনি গভীর শঙ্খধনি,

আকাশবীণার তারে তারে

       জাগে তোমার আগমনী।

              কোথায় সোনার নূপুর বাজে,

              বুঝি আমার হিয়ার মাঝে,

              সকল ভাবে সকল কাজে

                     পাষাণ-গালা সুধা ঢেলে —

                     নয়ন-ভুলানো এলে।