কল্পনা

        হে বৈরাগী, করো শান্তিপাঠ।

উদার উদাস কণ্ঠ যাক ছুটে দক্ষিণে ও বামে,

যাক নদী পার হয়ে, যাক চলি গ্রাম হতে গ্রামে,

            পূর্ণ করি মাঠ।

        হে বৈরাগী, করো শান্তিপাঠ।

 

        সকরুণ তব মন্ত্রসাথে

মর্মভেদী যত দুঃখ বিস্তারিয়া যাক বিশ্ব- ' পরে,

ক্লান্ত কপোতের কণ্ঠে, ক্ষীণ জাহ্নবীর শ্রান্তস্বরে,

            অশ্বত্থছায়াতে—

        সকরুণ তব মন্ত্রসাথে।

 

        দুঃখ সুখ আশা ও নৈরাশ

তোমার ফুৎকারলুব্ধ ধুলা-সম উড়ুক গগনে,

ভ 'রে দিক নিকুঞ্জের স্খলিত ফুলের গন্ধসনে

            আকুল আকাশ—

        দুঃখ সুখ আশা ও নৈরাশ।

 

        তোমার গেরুয়া বস্ত্রাঞ্চল

দাও পাতি নভস্তলে, বিশাল বৈরাগ্যে আবরিয়া

জরা মৃত্যু ক্ষুধা তৃষ্ণা, লক্ষকোটি নরনারী-হিয়া

            চিন্তায় বিকল।

        দাও পাতি গেরুয়া অঞ্চল।

 

        ছাড়ো ডাক, হে রুদ্র বৈশাখ!

ভাঙিয়া মধ্যাহ্নতন্দ্রা জাগি উঠি বাহিরিব দ্বারে,

চেয়ে রব প্রাণীশূন্য দগ্ধতৃণ দিগন্তের পারে

            নিস্তব্ধ নির্বাক।

        হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!