বিচিত্রা

         ছিলাম যবে মায়ের কোলে,

         বাঁশি বাজানো শিখাবে ব ' লে

চোরাই করে এনেছ মোরে তুমি,

              বিচিত্রা হে, বিচিত্রা,

যেখানে তব রঙের রঙ্গভূমি।

          আকাশতলে এলায়ে কেশ

               বাজালে বাঁশি চুপে,

          সে মায়াসুরে স্বপ্নছবি

               জাগিল কত রূপে ;

           লক্ষ্যহারা মিলিল তারা

               রূপকথার বাটে,

         পারায়ে গেল ধূলির সীমা

               তেপান্তরী মাঠে।

 

         নারিকেলের ডালের আগে

         দুপুরবেলা কাঁপন লাগে,

ইশারা তারি লাগিত মোর প্রাণে,

               বিচিত্রা হে, বিচিত্রা,

কী বলে তারা কে বলো তাহা জানে।

          অর্থহারা সুরের দেশে

                ফিরালে দিনে দিনে,

          ঝলিত মনে অবাক বাণী,

                শিশির যেন তৃণে।

          প্রভাত-আলো উঠিত কেঁপে

                 পুলকে কাঁপা বুকে,

          বারণহীন নাচিত হিয়া

                    কারণহীন সুখে।

          জীবনধারা অকূলে ছোটে,

          দুঃখে সুখে তুফান ওঠে,

আমারে নিয়ে দিয়েছ তাহে খেয়া,