পরিশেষ

জন্মদিনে জন্মদিনে গাঁথনির কর্ম হবে শেষ,

         সুখ দুঃখ ভয় লজ্জা ক্লেশ,

আরব্ধ ও অনারব্ধ সমাপ্ত ও অসমাপ্ত কাজ,

         তৃপ্ত ইচ্ছা, ভগ্ন জীর্ণ সাজ —

    তুমি-রূপে পুঞ্জ হয়ে, শেষে

কয়দিন পূর্ণ করি কোথা গিয়ে মেশে।

                   যে চৈতন্যধারা

সহসা উদ্ভূত হয়ে অকস্মাৎ হবে গতিহারা,

                   সে কিসের লাগি —

নিদ্রায় আবিল কভু, কখনো-বা জাগি

বাস্তবে ও কল্পনায় আপনার রচি দিল সীমা,

                   গড়িল প্রতিমা।

অসংখ্য এ রচনায় উদ্‌ঘাটিতে মহা-ইতিহাস

     যুগান্তে ও যুগান্তরে এ কার বিলাস।

 

জন্মদিন মৃত্যুদিন, মাঝে তারি ভরি প্রাণভূমি

                   কে গো তুমি।

            কোথা আছে তোমার ঠিকানা,

কার কাছে তুমি আছ অন্তরঙ্গ সত্য করে জানা।

আছ আর নাই মিলে অসম্পূর্ণ তব সত্তাখানি

            আপন গদগদ বাণী

  পারে না করিতে ব্যক্ত, অশক্তির নিষ্ঠুর বিদ্রোহে

                বাধা পায় প্রকাশ আগ্রহে,

       মাঝখানে থেমে যায় মৃত্যুর শাসনে।

                   তোমার যে সম্ভাষণে

জানাইতে চেয়েছিলে নিখিলেরে নিজ পরিচয়

     হঠাৎ কি তাহার বিলয়,

   কোথাও কি নাই তার শেষ সার্থকতা।

তবে কেন পঙ্গু সৃষ্টি, খণ্ডিত এ অস্তিত্বের ব্যথা।  

   অপূর্ণতা আপনার বেদনায়

       পূর্ণের আশ্বাস যদি নাহি পায়,

                তবে রাত্রিদিন হেন