পূরবী
     এই দিন এল আজ প্রাতে
যে অনন্ত সমুদ্রের শঙ্খ নিয়ে হাতে,
     তাহার নির্ঘোষ বাজে
 ঘন ঘন মোর বক্ষোমাঝে।
               জন্ম-মরণের
দিগ্বলয়-চক্ররেখা জীবনেরে দিয়েছিল ঘের,
            সে আজি মিলাল।
               শুভ্র আলো
         কালের বাঁশরি হতে উচ্ছ্বসি যেন রে
                শূন্য দিল ভরে।
             আলোকের অসীম সংগীতে
    চিত্ত মোর ঝংকারিছে সুরে সুরে রণিত তন্ত্রীতে।
         উদয়-দিক্‌প্রান্ত-তলে নেমে এসে
                    শান্ত হেসে
         এই দিন বলে আজি মোর কানে,
    ‘অম্লান নূতন হয়ে অসংখ্যের মাঝখানে
         একদিন তুমি এসেছিলে
              এ নিখিলে
         নবমল্লিকার গন্ধে,
সপ্তপর্ণ-পল্লবের পবনহিল্লোল-দোল-ছন্দে,
         শ্যামলের বুকে,
    নির্নিমেষ নীলিমার নয়নসম্মুখে।
         সেই-যে নূতন তুমি,
           তোমারে ললাট চুমি
              এসেছি জাগাতে
         বৈশাখের উদ্দীপ্ত প্রভাতে।

 

                 ‘হে নূতন,
দেখা দিক্‌ আরবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ।
      আচ্ছন্ন করেছে তারে আজি
শীর্ণ নিমেষের যত ধূলিকীর্ণ জীর্ণ পত্ররাজি।
         মনে রেখো, হে নবীন,