পরিশেষ

   জানি আমি এই বারতা

            রইবে অরণ্যেতে —

   ওদের সুরে কবির কথা

            দিয়েছিলেম গেঁথে।

   ফাগুন হাওয়ায় শ্রাবণধারে

   এই বারতাই বারে বারে

   দিক্‌বালাদের দ্বারে দ্বারে

             উঠবে হঠাৎ বাজি ;

     কভু করুণ সন্ধ্যামেঘে,

    কভু অরুণ-আলোক লেগে,

    এই বারতা উঠবে জেগে

             রঙিন বেশে সাজি।

    স্মরণসভার আসন আমার

              সোনায় দেবে মাজি।

 

      আমার স্মৃতি থাক্‌-না গাঁথা

              আমার গীতি-মাঝে

      যেখানে ওই ঝাউয়ের পাতা

              মর্মরিয়া বাজে।

       যেখানে ওই শিউলিতলে

      ক্ষণহাসির শিশির জ্বলে,

      ছায়া যেথায় ঘুমে ঢলে

              কিরণকলামালী ;

      যেথায় আমার কাজের বেলা

      কাজের বেশে করে খেলা,

      যেথায় কাজের অবহেলা

             নিভৃতে দীপ জ্বালি

      নানা রঙের স্বপন দিয়ে

              ভরে রূপের ডালি।