বোরোবুদুর

           সেদিন প্রভাতে সূর্য এইমতো উঠেছে অম্বরে

                            অরণ্যের বন্দনমর্মরে ;

                       নীলিম বাষ্পের স্পর্শ লভি

           শৈলশ্রেণী দেখা দেয় যেন ধরণীর স্বপ্নচ্ছবি।

 

           নারিকেল-বনপ্রান্তে নরপতি বসিল একাকী

                                 ধ্যানমগ্ন-আঁখি।

           উচ্চে উচ্ছ্বসিল প্রাণ অন্তহীন আকাঙ্ক্ষাতে,

                 কী সাহসে চাহিল পাঠাতে

                আপন পূজার মন্ত্র যুগযুগান্তরে।

                          অপরূপ অমৃত অক্ষরে

           লিখিল বিচিত্র লেখা ; সাধকের ভক্তির পিপাসা

                           রচিল আপন মহাভাষা —

                       সর্বকাল সর্বজন

           আনন্দে পড়িতে পারে যে ভাষার লিপির লিখন।

 

           সে লিপি ধরিল দ্বীপ আপন বক্ষের মাঝখানে,

           সে লিপি তুলিল গিরি আকাশের পানে।

                 সে লিপির বাণী সনাতন

                       করেছে গ্রহণ

           প্রথম উদিত সূর্য শতাব্দীর প্রত্যহ প্রভাতে।

                       অদূরে নদীর কিনারাতে

                                আলবাঁধা মাঠে

           কত যুগ ধরে চাষী ধান বোনে আর ধান কাটে —

                       আঁধারে আলোয়

                 প্রত্যহের প্রাণলীলা সাদায় কালোয়

           ছায়ানাট্যে ক্ষণিকের নৃত্যচ্ছবি যায় লিখে লিখে,

                     লুপ্ত হয় নিমিখে নিমিখে।

        কালের সে লুকাচুরি, তারি মাঝে সংকল্প সে কার

                     প্রতিদিন করে মন্ত্রোচ্চার,