সানাই

                                     আমার এ দশাতেই।

 

               কোথা থেকে আপনি এসে জোটে

                             চাইতে না চাইতেই,

                   কাজ পেলে সে ভাগ্য ব ' লেই মানে —

                             খাটে মুটের মতো।

                        জিনিসপত্র বাঁধাছাঁদা,

                   লাগল ক ' ষে আস্তিন গুটিয়ে।

          ওডিকোলন মুড়ে নিল পুরোনো এক আনন্দবাজারে।

                   ময়লা মোজায় জড়িয়ে নিল এমোনিয়া।

                        ড্রেসিং কেসে রাখল খোপে খোপে

                    হাত-আয়না, রূপোয় বাঁধা বুরুশ,

                             নখ চাঁচবার উখো,

          সাবানদানি, ক্রিমের কৌটো, ম্যাকাসারের তেল।

                        ছেড়ে-ফেলা শাড়িগুলো

                   নানা দিনের নিমন্ত্রণের

                        ফিকে গন্ধ ছড়িয়ে দিল ঘরে।

                   সেগুলো সব বিছিয়ে দিয়ে চেপে চেপে

          পাট করতে অবিনাশের যে-সময়টা গেল

                             নেহাত সেটা বেশি।

               বারে বারে ঘুরিয়ে আমার চটিজোড়া

                        কোঁচা দিয়ে যত্নে দিল মুছে,

                ফুঁ দিয়ে সে উড়িয়ে দিল ধুলোটা কাল্পনিক

                        মুখের কাছে ধ ' রে।

               দেয়াল থেকে খসিয়ে নিল ছবিগুলো,

                        একটা বিশেষ ফোটো

               মুছল আপন আস্তিনেতে অকারণে।

                        একটা চিঠির খাম

                    হঠাৎ দেখি লুকিয়ে নিল

                        বুকের পকেটেতে।

               দেখে যেমন হাসি পেল, পড়ল দীর্ঘশ্বাস।

          কার্পেটটা গুটিয়ে দিল দেয়াল ঘেঁষে —