নবজাতক

                   একি আত্মবিস্মরণমোহ,

    বীর্যহীন ভিত্তি-’পরে কেন রচে শূন্য সমারোহ।

         রাজ্যহীন সিংহাসনে অত্যুক্তির রাজা,

                        বিধাতার সাজা।

 

              হোথা যারা মাটি করে চাষ

         রৌদ্রবৃষ্টি শিরে ধরি বারো মাস,

              ওরা কভু আধামিথ্যা রূপে

           সত্যেরে তো হানে না বিদ্রূপে।

              ওরা আছে নিজ স্থান পেয়ে ;

    দারিদ্র্যের মূল্য বেশি লুপ্তমূল্য ঐশ্বর্যের চেয়ে।

 

এদিকে চাহিয়া দেখো টিটাগড়।

    লোষ্ট্রে লৌহে বন্দী হেথা কালবৈশাখীর পণ্যঝড়।

              বণিকের দম্ভে নাই বাধা,

    আসমুদ্র পৃথ্বীতলে দৃপ্ত তার অক্ষুণ্ন মর্যাদা।

         প্রয়োজন নাহি জানে ওরা

              ভূষণে সাজায়ে হাতিঘোড়া

    সম্মানের ভান করিবার,

      ভুলাইতে ছদ্মবেশী সমুচ্চ তুচ্ছতা আপনার।

    শেষের পংক্তিতে যবে থামিবে ওদের ভাগ্যলিখা,

              নামিবে অন্তিম যবনিকা,

       উত্তাল রজতপিণ্ড-উদ্ধারের শেষ হবে পালা,

            যন্ত্রের কিঙ্করগুলো নিয়ে ভস্মডালা

                    লুপ্ত হবে নেপথ্যে যখন,

  পশ্চাতে যাবে না রেখে প্রেতের প্রগল্‌ভ প্রহসন।

 

    উদাত্ত যুগের রথে বল্গাধরা সে রাজপুতানা

              মরুপ্রস্তরের স্তরে একদিন দিল মুষ্টি হানা ;

        তুলিল উদ্ভেদ করি কলোল্লোলে মহা-ইতিহাস

প্রাণে উচ্ছ্বসিত, মৃত্যুতে ফেনিল ; তারি তপ্তশ্বাস