২৪

প্রত্যুষে দেখিনু আজ নির্মল আলোকে

নিখিলের শান্তি-অভিষেক,

তরুগুলি নম্রশিরে ধরণীর নমস্কার করিল প্রচার।

যে শান্তি বিশ্বের মর্মে ধ্রুব প্রতিষ্ঠিত,

রক্ষা করিয়াছে তারে

যুগ-যুগান্তের যত আঘাতে সংঘাতে।

বিক্ষুব্ধ এ মর্তভূমে

নিজের জানায় আবির্ভাব

দিবসের আরম্ভে ও শেষে।

তারি পত্র পেয়েছ তো কবি, মাঙ্গলিক।

সে যদি অমান্য করে বিদ্রূপের বাহক সাজিয়া

বিকৃতির সভাসদ্‌রূপে

চিরনৈরাশ্যের দূত,

ভাঙা যন্ত্রে বেসুর ঝংকারে

ব্যঙ্গ করে এ বিশ্বের শাশ্বত সত্যেরে,

তবে তার কোন্‌ আবশ্যক।

শস্যক্ষেত্রে কাঁটাগাছ এসে

অপমান করে কেন মানুষের অন্নের ক্ষুধারে।

রুগ্‌ণ যদি রোগেরে চরম সত্য বলে,

তাহা নিয়ে স্পর্ধা করা লজ্জা বলে জানি —

তার চেয়ে বিনা বাক্যে আত্মহত্যা ভালো।

মানুষের কবিত্বই

হবে শেষে কলঙ্কভাজন

অসংস্কৃত যদৃচ্ছের পথে চলি।

মুখশ্রীর করিবে কি প্রতিবাদ

মুখোশের নির্লজ্জ নকলে।