ধূমকেতু মাঝে মাঝে হাসির ঝাঁটায়

দ্যুলোক ঝাঁটিয়ে নিয়ে কৌতুক পাঠায়

        বিস্মিত সূর্যের সভা ত্বরিতে পারায়ে —

        পরিহাসচ্ছটা ফেলে সুদূরে হারায়ে,

                 সৌর বিদূষক পায় ছুটি।

 

আমার জীবনকক্ষে জানি না কী হেতু,

মাঝে মাঝে এসে পড়ে খ্যাপা ধূমকেতু —

        তুচ্ছ প্রলাপের পুচ্ছ শূন্যে দেয় মেলি,

        ক্ষণতরে কৌতুকের ছেলেখেলা খেলি

                 নেড়ে দেয় গম্ভীরের ঝুঁটি।

 

এ জগৎ মাঝে মাঝে কোন্‌ অবকাশে

কখনো বা মৃদুস্মিত কভু উচ্চহাসে

        হেসে ওঠে, দেখা যায় আলোকে ঝলকে —

        তারা কেহ ধ্রুব নয়, পলকে পলকে

                 চিহ্ন তার নিয়ে যায় মুছে।

 

তিমির-আসনে যবে ধ্যানমগ্ন রাতি

উল্কাবরিষনকর্তা করে মাতামাতি —

        দুই হাতে মুঠা মুঠা কৌতুকের কণা

        ছড়ায় হরির লুঠ, নাহি যায় গনা,

                 প্রহর-কয়েকে যায় ঘুচে।

 

অনেক অদ্ভুত আছে এ বিশ্বসৃষ্টিতে,

বিধাতার স্নেহ তাহে সহাস্য দৃষ্টিতে।

        তেমনি হালকা হাসি দেবতার দানে

        রয়েছে খচিত হয়ে আমার সম্মানে —

                 মূল্য তার মনে মনে জানি।